ঢাকা: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেড়েছে ডিমের দামও।
বুধবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্লবী, কালশী বাজার ও মিরপুর ১১ নম্বর বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, তিন থেকে চার দিনের ব্যবধানে লাল ডিমের ডজন প্রতি দাম বেড়েছে ৩০ টাকা এবং হাঁসের ডিমে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এখন বাজারে লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ২১০ থেকে ২২০ টাকা। এছাড়া দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৮০ টাকায়। কিন্তু গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বাজারগুলোতে লাল ডিম বিক্রি হয়েছিল ১২০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা (ডজন প্রতি)।
পল্লবী এলাকার বাসিন্দা মো. সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল এক ডজন লাল ডিম কিনেছি ১৪০ টাকা দিয়ে। দোকানিরা বলছেন, আবারও নাকি ডিমের দাম বাড়বে। এভাবে যদি প্রতিদিন নৃত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে থাকে তাহলে কিভাবে সংসার চালাবো কিছুই মাথায় ঢুকছেনা। রাজধানীতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জীবনযাত্রা খরচ। এমনটা চলতে থাকলে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে হবে।
পল্লবীর ডেইলি মার্ট স্টোরের মালিক সাহাদাত হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে বেড়েছে ডিমের দামও। লাল ডিমের হালি বিক্রি করছি ৪৫ টাকা। বুধবার দোকানের জন্য লাল ডিম কিনেছি প্রতি পিস ১১ টাকা করে। দুই-এক দিনের মধ্যে লাল ডিমের হালি হবে ৫০ টাকা।
কালশী বাজারের ডিম বিক্রেতা রমজান আলী বাংলানিউজকে বলেন, তিন থেকে চার দিনের ব্যবধানে লাল ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ৩০ টাকা। হাঁসের ডিমে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে দেশি মুরগির ডিমের দাম এখনও বাড়েনি। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন খরচ বেশি হওয়ার পাশাপাশি খামারেও ডিমের দাম বাড়তি। দাম আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। লাল ডিম প্রতি ডজন ১৫০ টাকাও হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
এমএমআই/এফআর