ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

গৌরীপুরে সাংবাদিককে ‘পা কেটে’ নেওয়ার হুমকি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
গৌরীপুরে সাংবাদিককে ‘পা কেটে’ নেওয়ার হুমকি মশিউর রহমান কাউসার

ময়মনসিংহ: গত ২৭ মার্চ ‘গৌরীপুরে হাতুড়ি পেটায় হাঁটু ভাঙল ছাত্রলীগ নেতার’ শিরোনামে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সাংবাদিক মশিউর রহমান কাউসারকে (৩৮) ‘পা কেটে’ নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।    

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের (৩৭) নামে এ অভিযোগ উঠেছে।

তিনি পৌরসভার মধ্য ভালুকা এলাকার মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।  

বুধবার (১০ আগস্ট) রাতে এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক গৌরীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন।  

এর আগে ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এই হুমকি দেন মঞ্জুরুল ইসলাম।    

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, এ ঘটনায় জিডি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

সাংবাদিক কাউসার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার গৌরীপুর প্রতিনিধি এবং গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব।    

মশিউর রহমান কাউসার জানান, চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসে পতাকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্কুলশিক্ষক ইমতিয়াজ সুলতান জনির ওপর যুবলীগ কর্মী মঞ্জুরুলের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। সে সময় কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জনির একটি পা ভেঙে দেওয়া হয়।  

এ ঘটনায় গত ২৭ মার্চ দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় ‘গৌরীপুরে হাতুড়ি পেটায় হাঁটু ভাঙল ছাত্রলীগ নেতার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম ওই সাংবাদিককে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।  

সর্বশেষ গত ১০ আগস্ট সাংবাদিক কাউসার গৌরীপুর রেলস্টেশন এলাকায় তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন। সে সময় মঞ্জুরুল তার সহযোগী সিদ্দিক মিয়াকে (৪৫) সঙ্গে নিয়ে গিয়ে উত্তেজিত অবস্থায় সাংবাদিক কাউসারকে গালিগালাজ শুরু করেন।    

একপর্যায়ে সাংবাদিক কাউসারকে পা কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়ে মঞ্জুরুল বলেন, ‘তুই বড় সাংবাদিক হইয়া গেছস; তোর লাইগ্যা আমি মামলায় ফাঁসছি। এতে আমার ৯০ হাজার টেহা খরচ হইছে। তোর পা কাইট্যা নিয়া যাইয়াম। ’

তবে অভিযোগটি অস্বীকার করে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি আপাতত মিমাংসা হলেও ওই বিরোধপূর্ণ জমি থেকে একটি বাঁশ বাগান বিক্রি করা হয়েছে আমাদের না জানিয়ে। বিষয়টি নিয়ে আমি তার (সাংবাদিকের) সঙ্গে কথা বলেছি। এখানে তাকে হুমকি দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।