ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

হিজাব কাণ্ডে জবাব দেওয়ার ৭ মিনিট পরই বরখাস্ত শিক্ষক!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
হিজাব কাণ্ডে জবাব দেওয়ার ৭ মিনিট পরই বরখাস্ত শিক্ষক! সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম

পঞ্চগড়: হিজাব পরায় তিন ছাত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে।  এ ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

সেই নোটিশের জবাব দেওয়ার সাত মিনিটের মাথায় তাকে বরখাস্ত করেছেন গভর্নিং বডির সভাপতি হাফিজুর রহমান।

রোববার (১৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি হাফিজুর রহমান বরখাস্তের চিঠি পাঠান আশরাফুল আলমকে।

জানা যায়, গত ২৮ জুলাই সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক সায়েদ মনজুরুল হাসান সুজার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় স্কুলের তিন শিক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ, হিজাব পরার কারণে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন শিক্ষক আশরাফুল। এ ছাড়া ক্লাসের বিষয় বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত ও দলীয় আলোচনা করতেন তিনি।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ আগস্ট সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। রোববার বেলা ১১টায় তিনি লিখিত জবাব দেন। এর সাত মিনিটের মাথায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেয় স্কুলের গভর্নিং বডি।

চিঠিতে বলা হয়, আনিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যে জবাব দেওয়া হয়েছে, গভর্নিং বডির কাছে তা সন্তোষজনক মনে না হওয়ায় রোববার ১০ নম্বর সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে শিক্ষক আশরাফুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

শিক্ষক আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমি গত ২৬ জুলাই প্রতিদিনের ন্যায় ক্লাস নিতে যাই। তিন শিক্ষার্থী বোরকা ও হিজাব পরে ক্লাসে আসে। তাদের মুখ পুরো ঢাকা থাকায় পরিচয় জানতে চাই। ছাত্রীদের চিনতে পারিনি বলে প্রধান শিক্ষক সায়েদ মনজুরুল হাসান সুজাকেও ডেকে দেখাই।

তিনি অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে ফাঁসানোর জন্য ওই তিন ছাত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করিয়েছেন। আমাকে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে, আমি সেটি দিয়েছি। কিন্তু এর ৭ মিনিটের মাথায় আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? সঠিক তদন্ত বা জবাব না পৌঁছানোর আগেই বহিষ্কার? আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি হাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। প্রধান শিক্ষক সায়েদ মনজুরুল হাসান সুজাকেও পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।