ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মায়ের কোলে ছিলাম বলেই হয়তো বেঁচে গেছি: মেয়র সাদিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
মায়ের কোলে ছিলাম বলেই হয়তো বেঁচে গেছি: মেয়র সাদিক

বরিশাল: বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট আমার বয়স ছিল দেড় বছরের মতো। তখন আমি মায়ের কোলে ছিলাম বলেই হয়তো বেঁচে গেছি।

তিনি বলেন, ওই রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর বাড়ি, আমাদের ২৭ মিন্টু রোডের বাড়ি ও শেখ ফজলুল হক মনির বাড়িতে প্রায় একই সময় নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। আমাদের বাসায় ছয়জন নিহত হয়েছিলেন। আমার মা, দাদি, ছোট ফুফু, চাচাসহ সবাই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ভাগ্যক্রমে আমি আর আমার বড় বোন ওই বাসা থেকে অক্ষত অবস্থায় বের হই।

মেয়র সাদিক বলেন, আজ আমার মা (শহীদ জননী মু্ক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম) বেঁচে নেই। দুবছর হলো তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘটনার সময় বড় ভাই মায়ের কোলে উঠতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমি ছোট থাকায় মা তাকে না নিয়ে আমাকে কোলে তুলে নেন। আর তাই হয়তো মায়ের কোলে থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। তাই এখানে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। নয়তো আমার ছবিও হয়তো ভাইয়ের পাশে থাকতো।

বরিশালে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নগরের বটতলাস্থ নব আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র সাদিক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বংশসহ নির্বংশ করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তাই এমন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। তবে বেঁচে যায় তার দুই কন্যা। ঘাতকরা ভেবেছিল দুটি মেয়ে আর কী করবে। কিন্তু আজ জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের হাল ধরেছেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, বিশ্বের দরবারে আমাদের মাথা উঁচু করে দিয়েছেন। তিনি আমাদের সততার প্রতীক। তার নিষ্ঠা আর অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশবাসী উপকৃত হয়েছে। বেশি উপকৃত হয়েছি আমরা দক্ষিণাঞ্চলবাসী।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র থাকবে, এটা আমাদের মাথার ওপর ঘুরতে থাকবে সবসময়। আমরা যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি সবসময় শত্রু হয়ে থাকবে। তবে আমি মনে করি আজ যারা দেশ ও আওয়ামী লীগ বিরোধী তারা অটোমেটিক আমার শত্রু।

মেয়র সাদিক বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে এ শহরে কোনো ধরনের মারামারি, রাহাজানি, টেন্ডারবাজি নেই। যেখানে এ শহরে একসময় শিক্ষকদের ধাওয়া দিয়ে মারা হয়েছিল, ছাত্রলীগের নামধারীরা বহু অপকর্ম করেছিল সেখানে শিক্ষকরা আজ ছাত্রলীগের প্রশংসা করছে। আজ মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি যাদের নিয়ে হয়েছে, আমি মনে করি তাদের এটা প্রাপ্য। সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় সামনের মাস থেকে ত্রিশ ওয়ার্ডের কমিটি করবো। এভাবে আমরা প্রতিটি সংগঠন ঢেলে সাজাবো। মহানগর আওয়ামী লীগের পরপর দুবার সম্মেলন হয়েছে, ওয়ার্ড কমিটিও রয়েছে। তাই বাকি সংগঠনগুলোকে এভাবে গুছিয়ে আনতে হবে, যাতে আমরা আরও শক্তিশালী হই।

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।