ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা: শিক্ষামন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা: শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর: শুধু বাংলাদেশের নয়, বঙ্গবন্ধু সারাবিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা ছিলেন উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আজকে জ্বালানি নিরাপত্তার কথা বলি আর যাই বলি, বঙ্গবন্ধু সবকিছুই আমাদের জন্য করে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শোষণের হাত থেকে আমাদের মুক্তি দিয়ে গিয়েছিলেন।

সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকে জ্বালানি নিরাপত্তার কথা বলি আর যাই বলি, বঙ্গবন্ধু সবকিছুই আমাদের জন্যে করে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শোষণের হাত থেকে আমাদের মুক্তি দিয়ে গিয়েছিলেন। দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যা যা করার দরকার তাই করে দিয়ে গিয়েছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের জন্যে তিনি সকল দলের সমন্বয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। তিনি যত ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তার সুফল আজ আমরা পাচ্ছি। ২১ বছরে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল পাকিস্তানের দোসররা। তারা চেয়েছিল মুজিব রক্তের এতটুকু অংশও যেন না থাকে।

তিনি বলেন, আজকে বৈশ্বিক একটি সমস্যা চলছে। কোভিড থেকে বেরিয়ে আসার পথে বৈশ্বিক যুদ্ধের ফলে সারাবিশ্বে জ্বালানি ও খাদ্যের সঙ্কট চলছে। বিশ্বের পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে আমাদেরও চলতে হবে। তবুও আমাদের অর্থনীতির অবস্থা এখন অনেক ভালো আছে। প্রতিবার নির্বাচন এলেই একটি ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এরা চিরজীবনই ষড়যন্ত্রকারী।

দীপু মনি বলেন, যদিও বলা হয় জেনারেল জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যদি তাই হবে এবং তিনি যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের এবং আমাদের প্রাণের স্লোগান যে স্লোগান দিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি এত রক্তের বিনিময়ে, সেই জয় বাংলা তিনি নিষিদ্ধ করতেন না। বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করা হতো না। ৭ মার্চের যে অবস্মরণীয় ভাষণ দিয়ে জাতি ও রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে, পৃথিবীতে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, সেই ভাষণ নিষিদ্ধ হতো না। বাংলাদেশ বেতার, রেডিও বাংলাদেশ হতো না। এমনকি তারা জাতীয় সঙ্গীতকেও পরিবর্তন করার চেষ্টা চালিয়েছিল।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান, পিবিআই পুলিশ সুপার খন্দকার নূর রেজওয়ানা পারভিন।

দৈনিক সুদীপ্ত চাঁদপুর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এম আর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের সাবেক কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।