ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরগুনায় এতটা বাড়াবাড়ি ঠিক হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
বরগুনায় এতটা বাড়াবাড়ি ঠিক হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: বরগুনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুলিশের বেধড়ক পেটানোর ঘটনা ‘বাড়াবাড়ি’ বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বরগুনার ঘটনা বাড়াবাড়ি— এটা কেন হলো ব্যবস্থা নিতে আইজিকে বলা হয়েছে। তদন্ত হয়ে আসুক তারপর বলা যাবে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে এতটা বাড়াবাড়ি ঠিক হয়নি। এটা ঘটানো উচিত হয়নি। বরগুনার ঘটনাটা যেটা দেখেছি, এটা একটু বাড়াবাড়ি করেছেন। এ ঘটনাটা এভাবে না ঘটলেও পারতো।

সোমবার বরগুনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থল থেকে এক এক করে বের হতে থাকেন আর পুলিশ তাদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে।  

সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে ঔদ্ধত্য ভঙ্গিতে কথা বলতেও দেখা যায়।

বরগুনায় বাড়াবাড়িটা কাদের ছিল জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি এই ঘটনাটা ফেসবুকে দেখেছি। আপনারা যেরকম দেখেছেন, আমিও সেরকম দেখেছি। তদন্ত কমিটি বসানো হয়েছে। তদন্ত হয়ে আসুক। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, এই জিনিসটা এতখানি বাড়াবাড়ি করা উচিত হয়নি। কার বাড়াবাড়ি ছিল, সেটা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে।

একজন পুলিশ সদস্য জনপ্রতিনিধিকে এভাবে বলতে পারেন—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি তো অনেক কিছু দেখেছি, আবার অনেক কিছু দেখিনি। ফেসবুকে হয়তো এক অ্যাঙ্গেলে ভিডিওটি আসছে, অন্য অ্যাঙ্গেল থাকতে পারে, সেটা তো আমি দেখিনি। তাই সেই কথা আমি বলতে চাই না। আমি যেটুকু দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে যে, এটা না হলেও পারতো। ঘটনাটা এভাবে ঘটানো উচিত হয়নি, সেটাও আমি বলেছি।

আজ ৪০ জন পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের কী নির্দেশনা দিয়েছেন জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং দেশে শান্তির পরিস্থিতি বিরাজ করানোর জন্য যা যা করার আমরা সেগুলোই করে যাচ্ছি। আমাদের ল’ এনফোর্সমেন্ট অথরিটির বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশের ভূমিকা থাকে মুখ্য। সেজন্য পুলিশ অফিসার যিনি এসপি বা জেলার দায়িত্বে থাকেন তার কার্যকলাপটা সবার চোখে পড়ে এবং এটাই প্রণিধানযোগ্য হয়ে থাকে। এজন্য আমরা তাদের বলেছি আপনাদের চালেঞ্জ যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে আপনি দায়ী থাকবেন। আপনারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করে সেখানে কাজ করবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে, সে সময়ে যাতে কোনো অরাজকতা না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন। কারো প্রতি আনুকূল্যের প্রয়োজন নেই। যে যার কাজ করবে। সেখানে অন্যায় কোনো কাজ করলে, দেশদ্রোহী কোনো কাজ করলে, জনস্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করলে, আমাদের যানমালের কোনো ক্ষতি হলে সেখানে আপনি তড়িৎ অ্যাকশন নেবেন। এটাই ছিলো আমাদের কথা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।