ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দাম কমেছে মুরগি-সবজি-কাঁচা মরিচের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
দাম কমেছে মুরগি-সবজি-কাঁচা মরিচের

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কমেছে মুরগি, সবজি ও কাঁচামরিচের দাম কমেছে। বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে সিমের কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সিমের কেজি ছিল ২৪০ টাকা, করলা  ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৪০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০, পেঁপের কেজি ৪০, বটবটির কেজি ‌৮০ এবং ধুনধুলের কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। ৮০ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, সাপ্লাই ও আমদানি ভাল থাকায় সবজির দাম কমেছে।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা। ভারতীয় মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। আগে খোলা আটার কেজি বিক্রি হতো ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি আগে বিক্রি হত ৫২ টাকা।

ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা।  এসব বাজারে লাল ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, ডিমের দাম কমেছে। লাল ডিমের ডজনে আরও কমেছে ১০ টাকা। এখন লাল ডিমের ডজন ১২০ টাকা। ডিমের দাম আর কমার সম্ভবনা নেই। খামারিরা বলছেন তাদের লস হচ্ছে। এক মাস পরে আবার ডিমের দাম বাড়তে পারে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ ভালো। ব্রয়লার মুরগির দাম আর কমছে না। সোনালি মুরগির দাম নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৯, আগস্ট ২৫, ২০২২
এমএমআই/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।