ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ধামরাইয়ে মসজিদের জমি উদ্ধারে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
ধামরাইয়ে মসজিদের জমি উদ্ধারে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

সাভার (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে পৌরসভা এলাকায় মসজিদের নামে দান করা একটি জমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।  

এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ধামরাই উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।

পরে সেখান থেকে ধামরাই বাজার হয়ে যাত্রাবাড়ী এসিল্যান্ড অফিস পর্যন্ত মিছিল করে তারা।

জানা গেছে, ধামরাই পৌরসভার পাঠানটোলা এলাকায় আর এস ১৪১ খতিয়ানের ২৮, ২৯ ও ৩০ দাগের ২৫, ২২ ও ৫২ মোট ৯৯ শতাংশ জমি ‘ফেকন বিবি ওয়াকফ স্টেটের’ নামে দান করেন স্থানীয় নিঃসন্তান নারী ফেকন বিবি। সেখানেই একটি মসজিদ বানানো হয়।

মানববন্ধনের আয়োজকরা জানান, প্রায় ২৫০ বছর আগে ফেকন বিবি জমিটি দান করে যান। এরপর সেখানে মসজিদ করা হয়। গত ৫০-৬০ বছর আগে এই মসজিদের ইমাম নিয়োগ করা হয় মুন্নাফ মুন্সিকে। তাকে এখানেই থাকতে দেওয়া হয়। এরপর তিনি ধীরে ধীরে নিজের আত্মীয়-স্বজনদেরও এখানে থাকতে দেন। পরে তারা নিজেদের নামে একটি রেকর্ডও বের করে ফেলে ও জমি দখল করে বাড়িঘর বানিয়ে নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু এখনও পুরনো রেকর্ড ফেকন বিবির নামেই রয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আ্যডভোকেট আবুল কাশেম রতন ও তার ভাই ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মো. মশিউর রহমান জানুসহ তার চাচারা মসজিদের ওয়াকফ্ এস্টেটের ৯৯ শতাংশ জায়গা দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করেছে। এ কারণে মসজিদের পাশে মাদ্রাসা ও কবরস্থান করা যাচ্ছে না।

উত্তর পাঠাটোলা জামে মসজিদের মুসল্লী মো. শওকত হোসেন বলেন, নিঃসন্তান ফেকন বিবি নিজের সব জমি উত্তর পাঠানটোলা জামে সমজিদের নামে ওয়াকফ্ করে যান। সেখানে ইমামের দায়িত্ব পালনের সময় রতন উকিলের বাবা ঘরবাড়ি করেছিলেন। এখন তারা পুরো জমিই দখল করে ফেলেছে। স্থানীয়রা ওই জমিতে মাদ্রাসা ও কবরস্থান করতে চায়। কিন্তু দখলদাররা সেটি ছাড়ছে না। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছি। ইউএনও দুই পক্ষকে ডেকেছিলেন। কিন্তু রতন উকিল সেখানে আসেননি। আমরা এলাকাবাসী মসজিদের জায়গায় উদ্ধার করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।

এদিকে মানববন্ধনে ওঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম রতন। তিনি বলেন, ওই জমি আমার পূর্বপুরুষের। রেকর্ডেও তাদের নাম আছে। আমি নিজে ওখানে থাকি না। আমার আলাদা বাড়ি আছে। যদি কোনো অভিযোগ থাকেও আমাকে জানালেই হতো। কোনো কথাবার্তা ছাড়া মানববন্ধন করার পেছনে আমি অন্য কোনো উদ্দেশ্য দেখছি। যারা আমার মানহানি করলো, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
এসএফ/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।