ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মধুমতি সেতুতে ১২ ঘণ্টায় ২ লাখ টাকা টোল আদায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
মধুমতি সেতুতে ১২ ঘণ্টায় ২ লাখ টাকা টোল আদায়

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতি সেতুতে ১২ ঘণ্টায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা পযর্ন্ত এ টোল আদায় হয়।

 

এ সময়ে বিভিন্ন ধরনের ১ হাজার ৫০০টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। বর্তমানে সেতুটির টোলপ্লাজার ৮টি বুথের মধ্যে ৫টি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে।

১০ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর মধুমতি সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হলে ব্যাপক আনন্দ-উৎসবের সৃষ্টি হয়। এদিন রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় মধুমতি সেতু।  

চালুর পর এ সেতু পার হয়েছে নড়াইল, যশোর, বেনাপোল স্থল বন্দর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করছে বিভিন্ন যানবাহন।

সেতুটি চালু হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে নড়াইল, যশোর, খুলনা, বেনাপোল, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ সহজ হয়েছে। কমেছে ১০০-১২০ কিলোমিটার পথ। সেতুটি এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ভাঙ্গা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ভূমিকা রাখবে।

ভ্যানচালক আজিজ মিয়া বলেন, ‘আগে ফেরিতে করে আসা-যাওয়া করতে হতো। এতে অনেক ঝামেলাও পোহাতে হতো। ব্রিজ চালু হওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। আমরা এতে মহাখুশি। যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ’

ট্রাকচালক জাকির হোসেন বলেন, সেতু চালু হওয়ায় আমাদের উপকার হয়েছে কিন্তু ফেরি থেকে সেতু ভাড়া বেশি। এ ঘাটে ফেরি ভাড়া ছিল ৩০০ টাকা আর সেতু পার হতে লাগছে ৪৫০ টাকা। তাই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।

ভারতের কোলকাতা থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের চালক সামচুর রহমান বলেন, গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী মধুমতি সেতু উদ্বোধন করেছেন। এ সেতু পার হয়ে মঙ্গলবার সরাসরি কোলকাতা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছি। এদিক দিয়ে পথ কম আর সেতুটি অনেক দৃষ্টিনন্দন। যাত্রীরা এ সেতু পার হতে পেরে খুশি। তবে সেতু পার হওয়ার পর থেকে যশোর পর‌্যন্ত রাস্তা সরু হওয়ায় কিছু সমস্যা আছে। এ সড়কটি ৬-৪ লেনে উন্নীত করা হলে সময় ও খরচ বাঁচবে।

ভারতের কোলকাতা থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী আল-মামুন বলেন, আমার বাসা ঢাকার সাভারের ধামরাইয়ে। আমি ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলাম। চিকিৎসা শেষ করে শ্যামলী পরিবহনের বাসে করে মধুমতি সেতু হয়ে ঢাকা ফিরেছি।  

তিনি জানান, সেতু দেখে ভালো লেগেছে কিন্তু সড়কটি অপ্রশস্থ। সড়কটি প্রশস্ত করা হলে যাত্রী ও মালিকদের সুবিধা পাবেন।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনা মধুমতি সেতুর টোলিং সিস্টেমের প্রজেক্ট ম্যানেজার আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, মধুমতি সেতুতে টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। বড় ট্রেইলার ৫৬৫ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সসেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০ টাকা, দুই এক্সসেল বিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার ট্রিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকআপভ্যান, কনভারশনকৃত জিপ ও রে-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পু, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিকশা, ভ্যান ও বাইসাইকেল ৫ টাকা।

গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কুমারেশ বিশ্বাস জানান, মধুমতি সেতুতে দুই শিফটে টোল আদায় করা হচ্ছে।

গতকাল সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পযর্ন্ত প্রথম শিফটে এ সেতু দিয়ে ১৫০০টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর এতে টোল আদায় হয়েছে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা। আর দ্বিতীয় শিফট রাত ১২ টায় শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।