ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রংপুরে বিএনপির সমাবেশ: নীলফামারীতে দ্বিগুণ ভাড়ায়ও মিলছে না গাড়ি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
রংপুরে বিএনপির সমাবেশ: নীলফামারীতে দ্বিগুণ ভাড়ায়ও মিলছে না গাড়ি সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকে ছাড়ছে না কোনা পরিবহন

নীলফামারী: আগামী শনিবার (২৯ অক্টোবর) রংপুরে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। তার আগে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট।

পরিবহন মালিক সমিতির ডাকা দুই এ ধর্মঘটে অচল উত্তরের জেলা নীলফামারীও। মহাসড়কে নসিমন, করিমন, থ্রি-হুইলারসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ এবং প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধের দাবির অজুহাত দেখিয়ে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, পরিবহন বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্তের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সেখান থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না কোনো বাস। সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, শনিবার রংপুরে বিএনপির মহাসমাবেশ বানচাল করতে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে জনগণকে জিম্মি করা হয়েছে। আমরা রাজনীতি করি না, তাহলে কেন এই দুর্ভোগ? অন্যদিকে বিএনপির নেতারা বলেছেন, পরিবহন ধর্মঘট ডেকে সব বাহন বন্ধ করে দিলেও শনিবারের বিভাগীয় গণসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, পরিবহন ধর্মঘট মালিকদের ব্যাপার, তাদের নয়। সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে আসা কয়েকজন যাত্রী জানান, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এ ধরনের ধর্মঘট ডাকা ঠিক হয়নি।

নীলফামারী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ শানু বলেন, রংপুর পরিবহন মালিক সমিতির ডাকে এ ধর্মঘট চলছে, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়। মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও থ্রি-হুইলারসহ অবৈধ যান চলাচলের প্রতিবাদে ধর্মঘট। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো মানা না হলে প্রয়োজনে আরও সময় বাড়তে পারে। তাছাড়া শ্রমিকরা এই ধর্মঘটের সমর্থন দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পরিবহন বন্ধ রেখেছেন।

তিনি দাবি করেন, তাদের ডাকা ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার বলেন, শনিবার আমাদের রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ। এতে যেন নেতা-কর্মীরা কোনোভাবেই উপস্থিত হতে না পারে সে জন্য এ কারণে সমাবেশের দুই দিন আগে থেকেই পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। বিএনপি কোনো সমাবেশের ডাক দিলেই আওয়ামী সরকার সব সময় এমনটাই করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, সব বাধাবিঘ্ন উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করা হবে। রংপুরের গণসমাবেশ হবে জনসমুদ্র।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. মোখছেদুল মোমিন জানান, বিভিন্ন দাবি নিয়ে পরিবহন মালিকরা ধর্মঘট ডেকেছেন। এটা পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনের ব্যাপার, আওয়ামী লীগের নয়। বিএনপির নেতারা প্রতিটি সমাবেশে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

এদিকে সৈয়দপুর থেকে বিভিন্ন পন্থায় মহাসমাবেশের জন্য ছুটছেন বিএনপি কর্মীরা। নানা উপায়ে রংপুরে যাচ্ছেন নীলফামারী বিএনপির নেতা-কর্মীরা। কেউ ইজিবাইকে কেউবা মাইক্রোবাস নিয়ে ছুটছেন সমাবেশের উদ্দেশ্যে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।