ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২২
কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: জি এম মুজিবুর 

ঢাকা: কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা সবুজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা ১০টি শষ্য উৎপাদন করছি।

চালে তৃতীয়, আলুতে সপ্তম। আমরা খুবই ভালো করছি।  

মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে জাপানের কৃষিযন্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার-এসিআই মোটরস্ এর যৌথ উদ্যোগে কৃষিপ্রযুক্তি পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকার শুরু থেকেই কৃষিখাতে গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছি।  

মন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার শুরুর দিকেই জাপান আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। জাপান আমাদের তখন থেকেই প্রকৃত বন্ধু, বিশ্বস্ত বন্ধু। জাপান বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত, মাতারবাড়ি, শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করছে। সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিভিন্ন দুর্যোগ ও উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশকে আর্থিক ও অনার্থিক সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইস্যু গুলোতেও তারা কখনো প্রভাব বিস্তার করেনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্রমশ অর্থনীতিতে উন্নতি করছে কৃষির উপর নির্ভর করে। গত ১৩ বছরে ৬ শতাংশের বেশি জিডিপি বেড়েছে। অর্থনীতির প্রতিটি শাখায় বাংলাদেশ উন্নতি করেছে। পাশাপাশি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি খাতেই ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অবকাঠামো যেগুলো নির্মাণ হচ্ছে, এগুলো অর্থনীতিকে আরোও এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। ঘরে-ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে লোডশেডিং কেনো হচ্ছে। আমাদের উৎপাদম স্বক্ষমতা আছে। কিন্তু, মূল সমস্যা হচ্ছে জ্বালানি সংকট। আশা করছি এটি অচিরেই কেটে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সারে এ বছর ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছি, ভবিষ্যতেও দেব। আমরা আধুনিক কৃষিব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। খাদ্য নিশ্চিতকরণে আমরা আমদানি নির্ভর নই। কৃষিতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে আমরা জোর দিচ্ছি। ইয়ানমার বিশ্বসেরা কোম্পানিগুলোর একটি। এরই ধারাবাহিকতায় এসিআই এবং ইয়ানমারের যুগপৎ পথচলায় আমি শুভকামনা জানাচ্ছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, এটা খুবই আনন্দের সংবাদ যে, আজকে আমরা দুই দেশের কর্মকর্তারা এক হতে পেরেছি। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক রয়েছে। আশা করি আগামী দিনেও এটি অব্যাহত থাকবে। কৃষিজ প্রযুক্তি ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত খাতে দেশ দু'টি অতিতের মত ভবিষ্যতেও যৌথভাবে কাজ করবে। ইয়ানমার এবং এসিআইকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি এরকম সুন্দর একটা যৌথ আয়োজন করার জন্য। আমরা জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উৎযাপন করছি, এই সময়ে এরকম উদ্যোগ আগামী দিন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আমার বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন ইয়ানমার এগ্রো বিজনেস কোম্পানি লিমিটেডের বাংলাদেশের পরিচালক নাগামরি মাসুদা। বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম, এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা, এসিআই লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাশ ও ইয়ানমারের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২২
এমকে/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।