ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে যুবক ও গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
রাজধানীতে যুবক ও গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

ঢাকা: রাজধানী থেকে দুই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে শাহজাহানপুর ঝিল মসজিদ এলাকার বাজার সংলগ্ন একটি বাড়ির পাঁচতলা থেকে ঝুলন্ত ইসরাত জাহান আঁখির (২৭) ও শ্যামপুর করিমুল্লাহবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে সোহেলের (৩৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 পরে
মরদেহ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিত হাসান মাহমুদ জানান, ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাড়িটির পাঁচতলায় একটি রুমের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ফাঁস দেওয়া ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্বজনরা দাবি করছেন, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ওই গৃহবধূ মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। এ ঘটনার একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হবে।

বাগেরহাট মোড়লগঞ্জ উপজেলার আনিসুর রহমান হাওলাদারের মেয়ে আঁখি। চার বছরের মেয়ে ও স্বামী সাগর আহমেদ মহসিনের সঙ্গে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।

স্বামী মহসিন জানান, তিনি সবেমাত্র এলএলবি পাস করে সুপ্রিম কোর্টে এক আইনজীবীর সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। আঁখি গৃহিণী। বেশ কিছুদিন ধরে আঁখি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। রাতে হুট করেই একা রুমের ভেতর দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। অনেক ডাকাডাকি করেও তার কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না।

আঁখির বাবা আনিসুর রহমান জানান, সাগর তাকে ফোন দিয়ে জানান, আঁখি রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। কোনো সাড়াশব্দ করছেন না। তখন তিনি মেয়ে আঁখির মোবাইলে কয়েকবার কল দেন। প্রথমবার বিপরীত পাশ থেকে কলটি কেটে দেওয়া হলেও এরপরে আরও কয়েকবার চেষ্টা করেও ফোনকল রিসিভ করেননি আঁখি। এরপর দ্রুত তিনি ওই বাসায় গিয়ে দেখেন, পুলিশ আঁখির মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামাচ্ছে।

এদিকে বুধবার রাতে শ্যামপুরের করিমুল্লাহবাগের বাসার দোতলা থেকে এক যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

শ্যামপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) গোলাম ফারুক জানান, রাতে খবর পেয়ে করিমুল্লাহবাগের ওই বাসায় যাই। পরে সেই বাসার বিছানা থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এসআই জানান, করিমুল্লাহবাগের ওই বাসায় স্বামী-স্ত্রী মিলে ভাড়া থাকতেন। তবে ঘটনার সময় তার স্ত্রী শাহিদা আক্তার বিথী  গার্মেন্টসে ছিলেন। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে এসে দেখে তার স্বামী ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলে আছে। পরে বেঁচে আছে ভেবে অন্য লোকদের সহায়তায় ঝুলন্ত থেকে নিচে নামায়। বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মৃত সোহেলের ভায়রা মো. মাসুদ হাওলাদার হাসান জানান, সোহেলের বাড়ি  মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামে। ১০ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন বিথীকে।  পরিবারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না সোহেলের। শ্যামপুর করিমুল্লাহবাগ এলাকায় ভাড়া থাকতেন। দুই সন্তানের জনক ছিলেন।  

মাসুদ আরও জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে দুবাই যাওয়ার ফ্লাইট ছিল। সবকিছুই গোছানো ছিল। কিন্তু কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন এটা বুঝতে পারছি না।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
এজেডএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।