ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রাষ্ট্রদূতদের নাক গলানো ভালোভাবে দেখছি না, সতর্ক করা হবে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
রাষ্ট্রদূতদের নাক গলানো ভালোভাবে দেখছি না, সতর্ক করা হবে

মেহেরপুর: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জাপান বা অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো ভালোভাবে দেখছি না। তাদের সতর্ক করা হবে।

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, কারো কাছে পদাবনত হওয়া, দেশের আত্মমর্যাদার প্রশ্নে আমরা কাউকেই ছাড় দেব না।

তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৩ ও ২০১৫ সালে আন্দোলন করেছে। তারা যতই আন্দোলন সংগ্রাম করুক, আমরা তাদের সেই আন্দোলন মোকাবিলা করেই এ পর্যায়ে এসেছি। আগামীতেও তাদের আন্দোলনে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।

আগামীতে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সারা পৃথিবীর সবার কাছে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তাকে সহযোগিতা করবে ডিসি, এসপিসহ সরকারের সব শাখা। নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের নৈতিক দায়িত্ব।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর কমপ্লেক্সে অবস্থিত মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত আম্রকাননের সার্বিক পরিচর্যা কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, উপসচিব ও বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী এসময় আরও বলেন, আমাদের দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জমি বাড়েনি। কিন্তু মানুষ বেড়ে এখন ১৭ কোটি হয়েছে। তাই একটু কষ্ট হতে পারে।  
আমাদের দেশের কৃষকরা অনেক সংগ্রামী ও পরিশ্রমী। তারা ধান লাগিয়েছেন। এ বছরের প্রথম দিকে বৃষ্টিপাত না হলেও পরে বৃাষ্টপাত হয়েছে। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। আমাদের ফলন এবং উৎপাদন বেড়েছে।

ডলার সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডলার সংকট এখন আন্তর্জাতিক সংকট। ইংল্যান্ডের মতো দেশের অর্থনীতি ডলারের ওপর নির্ভরশীল। সেখানেও এখন ডলার সংকট। আমরা তো গরিব দেশ। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই।  

প্রতি বছর আমরা সারের ভর্তূকি দেওয়ার জন্য সাত/আট হাজার কোটি টাকা খরচ করি। ৯০ টাকায় কিনে সেই সার ১৬ টাকায় দিচ্ছি। বিএনপির আমলে সার ছিল ৯০ টাকা কেজি। সেই সার আমরা দিচ্ছি মাত্র ১৬ টাকায়। ইউরিয়ার দাম কৃষক পর্যায়ে ২২ টাকা। এখানে প্রতি কেজি ইউরিয়ায় সরকার ভর্তূকি দিচ্ছি ৬০ টাকা। আমরা সারের পিছে ৬০ টাকা ভর্তূকি দিলে স্কুল কলেজ ও আরেকটা পদ্মা সেতু হবে কীভাবে। আগে এক টন সারের দাম ছিল ২০০ ডলার। সেই সার কিনতে হচ্ছে আমাদের এক হাজার ডলারে। জাহাজের ভাড়া ছিল ৬০০ ডলার, সেখানে এখন গুণতে হচ্ছে ১৮০০ ডলার। এভাবে ডলার তো খরচ করতে হচ্ছে। আমরা মানুষকে তো খাওয়াচ্ছি, যোগ করেন মন্ত্রী।
 
মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এদেশের রিকশাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা, কৃষক, শ্রমিকরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। জীবন বাজি রেখে তারা পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে এ মুজিবনগরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়েছিল। এটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরও সুদৃঢ় করেছে। যতদিন দেশ থাকবে, ততদিন এ মুজিবনগর বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করবে। বঙ্গবন্ধুর এ দেশকে দারিদ্র মুক্ত করতে উজ্জীবিত করবে এ মুজিবনগর। আগামী প্রজন্মের সন্তানদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হবে এ মুজিবনগর।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।