ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে জরিমানার চেয়ে বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে জরিমানার চেয়ে বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আদায়কৃত জরিমানার টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সালেক মুহিদের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগে স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যজীবীদের তিনি বিভিন্ন অংকের টাকা জরিমানা করেন।

কিন্তু ভুক্তভোগীদের যে পরিমাণ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, সরকারি রসিদে ধার্যকৃত টাকার অর্ধেক বা কম লেখা হয়েছে।

সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের চরকানকুনি এলাকায় ফজলে করিম মৃধার ছেলে কবির মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫(১) ধারায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু কবির মৃধার অভিযোগ তার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে।

এদিকে যে আইনে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয়েছে, সে আইনে ৫০ হাজারের নিচে জরিমানা করার কোনো বিধান উল্লেখ নেই। কিন্তু তিনি একই এলাকার বেল্লাল চৌকিদারকে ৪০ হাজার, রহিম গাজী ৪০ হাজার, শানু মিয়া ২০ হাজার, মনির মৃধা ৫০ হাজার ও করিম মৃধা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা, যা রসিদে উল্লেখিত আইনের বিধি বর্হিভূত।

ভুক্তভোগী কবির মৃধা বলেন, এসিল্যান্ড আমার সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে, সবার সামনে গালাগাল করে আমাকে অপমান করেছে।  আমি আমার জমির মধ্যে দিয়ে খাল যাওয়ায় সেখানে মাছ চাষ করছিলাম। এ জন্য আমাকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে। স্থানীয়রা আমার সন্মান রক্ষায় তাৎক্ষণিক এ টাকা পরিশোধ করে। কিন্তু পরে দেখি সরকারি যে রসিদে লেখা ৪০ হাজার টাকা। আমি এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাশফাকুর রহমান বলেন, আমার কাছে এ বিষয়ে দুই ব্যক্তি মোবাইল ফোনে অভিযোগ জানিয়েছে। আমি তাদের লিখিত জানাতে বলেছি। এ ছাড়া আমি এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়কে অবহিত করেছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাঙ্গাবালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ সালেক মুহিদ বলেন, খালের বাঁধগুলো অপসারণের জন্য বাড়তি টাকা নেয়া হয়েছে। শ্রমিকরা কাজ করছেন এ দিয়ে তাদের মজুরি পরিশোধ করা হচ্ছে। এ বাবদ একলাখ ৫ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।  

এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভিন্নভাবে এমন করে টাকা নেয়ার কোনো আইনগত বৈধতা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারেননি এসিল্যান্ড সালেক মুহিত।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, যদি এরকম হয়ে থাকে, এটা আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। অভিযোগ পলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।