ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সেতু হয়ে গেল আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল

মঈন উদ্দীন বাপ্পী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
সেতু হয়ে গেল আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল

রাঙামাটি: ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনার জ্বরে কাঁপছে সারাদেশ। এ থেকে বাদ পড়েনি পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিও।

তবে সেখানে ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা। রঙের বর্ণিল সাজে পাল্টে গেছে গুরুত্বপূর্ণ দুই সেতুর নাম।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত সেতু দুটি হলো পুরানবস্তী-ঝুলইক্যাপাহাড় সেতু ও আসামবস্তী সেতু। বর্তমানে একটি সেতুকে কর্তৃপক্ষ সাদা, নীল রং করায় এবং অপর সেতুটিকে হলুদ রং করার পর আর্জেটিনা এবং ব্রাজিল দেশের পতাকার রংয়ের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় ফুটবলপ্রেমীরা বিশ্বকাপের উৎসবকে সামনে রেখে সেতু দু’টির নাম পরিবর্তন করে দিয়েছে। একটিকে আর্জেটিনা সেতু এবং অপরটির নাম ব্রাজিল সেতু নাম দিয়েছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ফুটবলপ্রেমীরা কিনছেন যার যার প্রিয় দলের পতাকা এবং জার্সি। দর্জি দোকানদার যেমন পতাকা বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তেমনি জার্সির দোকানদারও জার্সি বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পুরো জেলা শহর এখন আর্জেটিনা, ব্রাজিল ছাড়াও বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া অন্যান্য দলের পতাকায় ছেয়ে গেছে।

ফুটবলপ্রেমীরা তাদের প্রিয় দলের পতাকা বাড়ির ছাদে, অফিসকর্মীরা তাদের অফিস পাড়ায় এবং ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে পতাকা টানিয়ে প্রিয় দলকে সমর্থনের বিষয়টি জানান দিচ্ছেন।

বিশ্বকাপের উম্মোদনা চায়ের দোকান থেকে, অফিস পাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এমনকি খেলার মাঠেও গড়িয়েছে। ফুটবলপ্রেমীরা তাদের প্রিয় দলকে এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিট বলার চেষ্টা করছে। কেউ কেউ প্রিয় দলের সমর্থকদের নিয়ে করছে শোডাউন।

রাজধানী ঢাকা থেকে আসা পতাকা বিক্রেতা মো. আলা উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বকাপ আসলে আমি রাঙামাটিতে পতাকা বিক্রি করতে চলে আসি। একদিকে যেমন রাঙামাটি বেড়ানো হয় তেমনি ব্যবসাও হয়।

সানমুন টেইলার্স’র মালিক রানা দে বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বকাপ আসলে পতাকা বিক্রির ধুম শুরু হয়। অত্যন্ত আনন্দ নিয়ে পতাকা তৈরি করে বিক্রি করতে বেশ ভালো লাগছে।

রাঙামাটি জেলা ফুটবল দলের অন্যতম মিডফিল্ডার শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ফুটবল খেলা আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। আমি এবারের বিশ্বকাপে আর্জেটিনাকে সমর্থন করছি। তাই প্রত্যাশা আর্জেটিনা এইবার বিশ্বকাপ ঘরে নেবে।

জেলার অনূর্ধ্ব ১৭ নারী দলের সদস্য ইতি চাকমা বাংলানউজকে বলেন, আর্মি ব্রাজিল দলের সমর্থক। আর্জেটিনা শুধু শুধু চিৎকার করছে। কাপ  নিবে প্রিয় দল ব্রাজিল।

একই দলের অন্যতম সদস্য পায়েল চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, আমার প্রিয় দল আর্জেটিনা। শিরোপা ঘরে নিয়ে যাবে আমার দল।

জেলা ফুটবল দলের স্থানীয় কোর্স মো. হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, আমার দেশ একদিন বিশ^কাপ দলে জায়গা করে নিবে এটাই প্রত্যাশা। যেহেতু আমার দল খেলছে না তাই এইবারে আর্জেটিনাকে সমর্থন করছি।

স্থানীয় ফুটবল ক্লাব সংগঠক প্রিয় চাকমা বলেন, বিশ্বকাপ আসলে চারদিক উৎসব উৎসব ভাব চলে আসে। মনে শান্তি লাগে। তবে নিজের দেশ বিশ্বকাপ খেলতে পারলে খুব ভালো লাগতো। বর্তমানে আর্জেটিনা দলকে সমর্থন জানাচ্ছি।

রাঙামাটি সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান বলেন, আমরা যারা বিশ্বকাপে নিজেদের প্রিয় দল নিয়ে মাতামাতি  করছি। কিন্তু আশা করছি একদিন বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশও জায়গা করে নেবে।

তিনি আরও বলেন, ফুটবলকে আমাদের সামনে এগিয়ে নিতে হবে। এইজন্য আমাদের সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি নিজেকে কট্টর আর্জেটিনা সমর্থক বলে দাবি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।