ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খাদ্যে ভেজাল দূর করার দাবি তরুণদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
খাদ্যে ভেজাল দূর করার দাবি তরুণদের

ঢাকা: দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তরুণরা নিযুক্ত নয়। তাই তরুণদের সংগঠন বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদের পক্ষ থেকে প্রতীকী সংসদীয় আলোচনা সভার মাধ্যমে খাদ্যে ভেজাল দূর করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থাপনাসহ ১০টি সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকারের দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থাপনায় টেকসই রুপান্তরে ১০  অঙ্গীকার চাই’ শীর্ষক প্রস্তাব (সাধারণ) বিধি- ১৪৭ অনুযায়ী বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদের সংসদীয় আলোচনায় তারা এসব দাবি তুলে ধরেন।

সভায় সভাপতিত্ব (স্পিকার) করেন আমান্না জাহান বিভা। এসময় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন সংসদীয় আসনের জনপ্রতিনিধি (প্রতীকী) হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।  বিশেষ অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান, সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, কৃষি বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, ইউসিবি ব্যাংকের ডিএমডি এটিএম তাহমিদুজ্জামান, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের ফিনান্স ডিরেক্টর সৈয়দা ইয়াসমিন পান্না প্রমুখ।

সভায় নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের জন্য ১০টি অঙ্গিকার পূরণের দাবি জানানো হয়।  সেগুলো হচ্ছে- সবার জন্য নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার সহজপ্রাপ্য করা। ক্ষতিকর রাসায়ানিক উপাদানের ব্যবহার কমিয়ে মাটির স্বাস্থ্য ও স্থায়ীত্বশীল কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন করা। স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা। আমাদের পৃথিবী সবুজ ও বাসযোগ্য রাখতে ফুড সিষ্টেম ও এর প্রভাব সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা। বনভূমি নিধন ও রূপান্তর বন্ধ করে কৃষি জমি সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার।

খাদ্য ও পানীয় সামগ্রী বাজারজাত ও প্যাকেটজাতকরণে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাষ্টিক ও অপচনশীল উপকরণ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। স্থানীয় ও প্রচলিত জ্ঞান ও লাগসই প্রযুক্তি সম্পর্কে জানা, মানা ও সর্বস্তরে প্রচার করা। তরুণ কৃষক এবং কৃষি-উদ্যোক্তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করা। রাজনৈতিক সংঘাত, প্রতিবন্ধকতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত করা। স্থানীয় কৃষক ও খাদ্য উৎপাদনকারীদেরকে ভর্তুকি ও ট্যাক্স মওকুফ প্রাপ্তিতে সহায়তা করা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদ একটি স্বেচ্ছাব্রতী যুব উদ্যোগ। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের আদলে ৩০০টি সংসদীয় এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে ৩০০ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৫০ জন নারী প্রতিনিধিসহ মোট ৩৫০ জন শিক্ষার্থী যুব ছায়া সংসদের হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই সদস্যদের বয়স ২৫ বছরের নিচে। স্বোচ্ছাব্রতী যুব সংগঠন ইয়ুথ অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার ২০১৪ সাল থেকে নিয়মিতভাবে যুব ছায়া সংসদ অধিবেশন পরিচালনা করে আসছে।

ইয়ুথ অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার, বিকশিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন), বাস্তব, বিশেষ ফাউন্ডেশন, গ্রীণ ভয়েস, ফুড সেফটি মুভমেন্ট, বাফনা ও সময়ের দাবি সংগঠনের সম্মিলিত প্রয়াসে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়।

বাংরাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
ইএসএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।