ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

আগুন সন্ত্রাস রুখে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: আইজিপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
আগুন সন্ত্রাস রুখে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: আইজিপি মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সুধী সমাবেশে পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন

রাজশাহী: আগুন সন্ত্রাস রুখে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর পুলিশ লাইনসে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সুধী সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

সমাবেশে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিএনপি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের মধ্যে কাউকে অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। দেশে আবারও আগুন সন্ত্রাসের মতো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দেখা দিলে আগের মতোই কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের কথা উল্লেখ করে আজিপি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা দেশ ও জাতির শত্রু। পুলিশ বাহিনীতে কোনো মাদকসেবীর চাকরি হবে না। এমনকি সরকারি কোনো চাকরিই আর হবে না। চাকরিপ্রার্থী মাদকাসক্ত কিনা তা যাচাইয়ে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। সামাজিকভাবে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সচেতন করেও মাদক ব্যবসায়ীদের ভালো পথে ফিরে আসার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। কিন্তু এতেও যদি তারা মাদক পরিহার না করে, তাহলে অভিযানের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সন্ত্রাস, জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়ায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, এক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যরাও অপকর্ম করলে ছাড় পাবে না। তাই দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য তরুণ প্রজন্মকে এখনই সৎ, মেধাবী ও মাদকমুক্ত হয়ে বেড়ে উঠতে হবে। কারণ দেশের মধ্যে মাদক ও সন্ত্রাস থাকলে বিদেশি বিনিয়োগ হবে না, দেশে কেউ আসবে না। আমরা সমাজ থেকে এগুলো দূর করতে একসঙ্গে কাজ করে যেতে চাই।

আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।

পাশাপাশি পলাতক জঙ্গিদের ধরতে পুলিশি তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইজিপি।

আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির মহাসমাবেশ। এর আগে জেলার বিভিন্ন থানায় ককটেল বিস্ফোরণ ও উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টিতে আইজিপির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমরা অভিযান চালাচ্ছি। যেখানে যা পাচ্ছি, উদ্ধার করছি। পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছি। কেউ শান্তিশৃঙ্খলা ভাঙলে বা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, মহানগর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক ও রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।

পরে আইজিপি রাজশাহী পুলিশ লাইনসে নব নির্মিত ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ পরিদর্শন করেন। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
এসএস/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।