ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অদৃশ্য সিন্ডিকেটের নির্দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে: মেনন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
অদৃশ্য সিন্ডিকেটের নির্দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে: মেনন ‘খাদ্য নিরাপত্তা, ক্ষুদ্র কৃষকদের সংকট ও সমবায়ের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনার | ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: অদৃশ্য সিন্ডিকেটের নির্দেশে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে ‘খাদ্য নিরাপত্তা, ক্ষুদ্র কৃষকদের সংকট ও সমবায়ের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই অভিযোগ করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সেমিনারটি আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, অদৃশ্য সিন্ডিকেটের নির্দেশে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সমবায় ব্যবহারের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের উৎপাদিত ফসল কিনলে এমন হতো না।

কৃষিতে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলোর মালিকানাও সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, সেচসহ যাবতীয় কৃষিযন্ত্রের মালিকানা কৃষকের হাতে থাকলে প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে।

সমবায় দিবসের স্লোগানের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমবায়ের পুরো ব্যবস্থায় অপরিসীম দুর্নীতিপরায়নতা দেখা যায়। ২০০টি উপজেলায় স্থাপিত শস্য সাইলোর কর্তৃত্ব আমরা সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকের হাতে দেয়ার সুপারিশ করেছিলাম। সরকার তা গ্রাহ্য করেনি।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারাকাত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে বলেছিলেন, সমবায় আন্দোলন হবে সাধারণ কৃষকের যৌথ সমবায়। অথচ ঋণ খেলাপিরা পার পেয়ে যাচ্ছে, গরিব কৃষকের কোমরে দড়ি বেঁধে আটক করা হচ্ছে। আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণের ফলে সাধারণ কৃষক সমবায়ের প্রকৃত সুফল পাচ্ছে না। বঙ্গবন্ধুর সমবায় দর্শন অনুযায়ী দেশ চলছে না।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ এর সংবিধানে রাষ্ট্র ও সমবায় মালিকানাকে সুসংহত করা হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানার জমির পরিমাণ নির্দিষ্ট সীমায় নেওয়া হয়েছিল। আইনটির প্রকৃত সুফল কৃষক পায়নি। কৃষকের কথা মাথায় রেখে সমবায় আইনের আমূল পরিবর্তন করতে হবে।

সাধারণ কৃষকদের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারকে আরও সদয় হতে হবে উল্লেখ করে আবুল বারাকাত বলেন, গরিব মানুষের আত্মমর্যাদা সবচেয়ে বেশি, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতা থাকে বেশি। কিন্তু তাদের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রেই জটিলতা সবচেয়ে বেশি।

খাস জমি বরাদ্দে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ২ কোটি বিঘা খাস জমির মাত্র দশ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে। খাস জমির বরাদ্দ পেয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতারা, বঞ্চিত হয়েছে কৃষক। যেন সর্ষের মধ্যে ভূত লুকিয়ে রয়েছে।

এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক সীমা জামানসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।