ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জঙ্গি ছিনতাই

পলাতকরা কোথায়, মেহেদীর কাছে জানতে চায় সিটিটিসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
পলাতকরা কোথায়, মেহেদীর কাছে জানতে চায় সিটিটিসি

ঢাকা: ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকা মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফিকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের কর্মকর্তারা।

সিটিটিসি সূত্র জানিয়েছে, দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে কোথায় রাখা হয়েছে- তা জানতে মেহেদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া ছিনতাই অপারেশনে নেতৃত্ব দেওয়া আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান মশিউর রহমান ওরফে আইমানসহ বাকি সদস্যরা কোথায় রয়েছেন- তাও জানতে চাওয়া হচ্ছে।  

গ্রেফতার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন বিস্তারিত জানানো হবে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

তিনি জানান, জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তির বিষয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরতে ব্রিফ করবেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে সন্ধ্যায় সিটিটিসি প্রধান জানান, জঙ্গি ছিনতাইয়ে ১০ থেকে ১২ জন আইমানের নেতৃত্বে অংশ নেন। এর মধ্যে একজন মেহেদী। তিনি সরাসরি অপারেশনে অংশ নেন। জঙ্গি মেহেদী হাসান আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  

গত রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে একটি মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ সদস্যরা তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তারা জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।  

পালাতে অক্ষম জঙ্গি সদস্য সবুর ও আরাফাত ছিনতাই পরিকল্পনার অংশ ছিলেন। তাদেরসহ ২০ জন ও অজ্ঞাত সাত-আটজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি।

জঙ্গি ছিনতাইয়ের পরপরই রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সই করা এক আদেশে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমপি। এর পরদিন সোমবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অডিট) মো. আমিনুল ইসলাম কে প্রধান করা হয়।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড হলেন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া। তার অনুমতিতে এই ছিনতাই অপারেশন পরিচালনা করেন সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান মশিউর রহমান ওরফে আইমান।

গ্রেফতার থাকা জঙ্গি আরাফাত ও সবুরকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, কনডেম সেলে থাকা ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামিরা প্রায়ই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতেন। কারাগারে বসেই পরিকল্পনা হয় আসামি ছিনতাইয়ের।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
এসজেএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।