ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এক জমিতে তিন ফসল আবাদ করে মানিকগঞ্জের চাষিদের আলোড়ন

সাজিদুর রহমান রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
এক জমিতে তিন ফসল আবাদ করে মানিকগঞ্জের চাষিদের আলোড়ন

মানিকগঞ্জ: জেলার সাটুরিয়া উপজেলার কামতা এলাকাটি সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। এখানে এবার এক সঙ্গে তিন ফসল আবাদ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন চাষিরা।

সেই সঙ্গে জমির ফলনও বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি।

উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কামতা এলাকায় ২০০ শতাংশ জমিতে ভূট্টার সঙ্গে লাল শাক ও ধনিয়া পাতা আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছেন সবজি চাষি রাহেদুল ইসলাম। খরচের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন লাভ হওয়ায় অনেকেই এখন এ পদ্ধতি অবলম্বন করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাটুরিয়া উপজেলার বিষমুক্ত সবজি চাষের পাশাপাশি ভুট্টার আবাদ করেছেন রাহেদুল ইসলাম। ওই একই জমিতে ভুট্টার পাশ দিয়েই লাল শাক ও ধনিয়া পাতার আবাদ করেছেন তিনি। সেখানে সবকিছুর ফলনই ভালো হয়েছে।

২০০ শতাংশ জমিতে ভুট্টা, লাল শাক ও ধনিয়া পাতা আবাদ করতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে রাহেদুলের। এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকার লাল শাক ও ধনিয়া পাতা বিক্রি করেছেন তিনি। এর পরেও আরও কয়েক লাখ টাকার সবজি আছে তার জমিতে। এছাড়া এসব সবজি বিক্রির পর লাভের আরও একটি বড় অংশ থাকবে ভূট্টা থেকে।

ভূট্টা খেতে চাষ করা লাল শাক তোলার শ্রমিক রাজিয়া খাতুন বলেন, আমরা দুপুর ১২টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত এক বেলা লাল শাক তুলে দিলে মালিক ২০০ টাকা দেন। বাড়িতে বসে না থেকে বাড়তি আযের জন্য এই কাজ করছি।

আলম নামে আরও এক শ্রমিক বলেন, আমরা সারাদিন এই লাল শাক তুলি আর ভূট্টা খেতের ভেতরে থাকা আগাছা পরিষ্কার করি। জমির আগাছা পরিষ্কার না করলে ভূট্টার ফলন কম হবে। তাই লাল শাক তোলার পাশাপাশি আগাছা পরিষ্কারে কাজও করছি।

চাষি রাহেদুল ইসলাম বলেন, আমি এ পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রায় তিন বছর ধরে ভূট্টা ও সবজি আবাদ করে আসছি। আমার এই আবাদ দেখে এখন অনেকেই শুরু করেছেন। উৎপাদিত এসব সবজি নিজেই ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে গিয়ে বিক্রি করি। নিজে থেকে বিক্রি করার কারণে অন্য চাষিদের চেয়ে আমার লাভ অনেকাংশেই বেশি হয়।

পার্শ্ববর্তী এলাকার মোবারক নামে আরও এক চাষী বলেন, আমি প্রথমে জানতাম না যে এক জমিতে এতো ফসল চাষ করা যায়। তবে রাহেদুল ভাইকে দেখে আমিও করা শুরু করি। একবার সার দিয়েই একাধিক ফসল আবাদ করা যায়। অন্য দিকে ফলনও অনেক ভালো পাওয়া যায়। এ জন্য আমিও ৪০ শতাংশ জমিতে মিশ্র চাষ পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। ফলন অনেক ভালো হয়েছে।

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমার উপজেলার চাষিরা অনেক দিন আগে থেকেই এক জমিতে একাধিক ফসল চাষ শুরু করেছেন। জমিতে সঠিক পরিচর্যা করে তারা বেশ লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে গিয়ে তাদের সব ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।