ঢাকা: রিও অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন সাত অ্যাথলেট। এর মধ্যে সিদ্দিকুর রহমানই একমাত্র অ্যাথলেট যিনি অংশ নিয়েছেন সরাসরি।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাথলেট হিসেবে যোগ্যতার শতভাগ প্রমান দিয়ে সরাসরি রিও অলিম্পিকে অংশ নেয়া সিদ্দিকুরের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। অনুষ্ঠিত প্রথম রাউন্ডে যুগ্মভাবে ৫৬তম স্থানে আছেন বাংলাদেশের সেরা এই গলফার।
প্রথম রাউন্ডে পারের চেয়ে চার শট বেশি খেলেন সিদ্দিকুর। ৩১ বছর বয়সী এই গলফার দুটি বার্ডির সঙ্গে ছয়টি বোগি করায় পিছিয়ে পড়েন। অথচ প্রথম টি-অফের পর প্রথম নয় হোলে বেশ দাপটের সঙ্গেই লড়েছেন সিদ্দিকুর। টানা চার হোলে পারের সমান শট খেলার পর পঞ্চম হোলে প্রথম বার্ডি করেন। অষ্টম হোলেও তার বার্ডি ছিল। তবে, নবম হোলে গিয়ে পারের সমান শট খেলেন এশিয়ান ট্যুরের দুটি শিরোপা জেতা এই গলফার। এরপরই ছন্দ হারিয়ে প্রথম দিনটি হতাশা নিয়েই শেষ করতে হয় তাকে।
অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস ফ্রেজার পারের চেয়ে ৮ শট কম খেলে শীর্ষে রয়েছেন। সিদ্দিকুরের গ্রুপে ছিলেন নেদারল্যান্ডসের জোস্ট লুইটেন ও পর্তুগিজ গলফার রিকার্ডো গুয়েইভেরা।
তবে, বাংলাদেশের গলফপ্রেমীরা সিদ্দিকুরকে নিয়ে আশা না করার কোনো কারণও দেখছেন না। গত মে’তে ইউরোপিয়ান ট্যুরে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও শেষটা ভালো করতে না পরায় হয়েছেন রানার আপ। আর জুলাইয়ে এশিয়ান ট্যুরে মেরিট অব অর্ডারে শীর্ষে না উঠেও দু’দুটি শিরোপা জিতেছেন এই বাংলাদেশি গলফার। এশিয়া-ইউরোপ জয়ের পর সিদ্দিকুরের সামনেআবারো ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকছে। হাতে রয়েছে আরও তিনটি রাউন্ড। তাতে কাট-অফের ঝামেলা এড়াতে চাইলে দ্বিতীয় রাউন্ডে ভালো কিছু করতে হবে সিদ্দিকুরকে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, ১২ আগস্ট ২০১৬
এমআরপি