হযরত আলী উটপাখির নয়, মানুষের জীবনই বেছে নিয়েছিলেন। তিনজন নারীকে ছিনতাইকারীদের কবল থেকে রক্ষায় নিজের জীবন বাজি রেখেছিলেন তিনি।
ঢাকা শহরে মাঝে মাঝে উঁকি দেয় একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকার সামাজিক দায়বদ্ধতার বিজ্ঞাপন। উটপাখির মতো বালুতে মুখ লুকিয়ে নয়, মানুষের মতো প্রতিবাদী হয়ে বাঁচার মন্ত্র দেওয়া আছে সেখানে। বিজ্ঞাপনটি দেখে আগে খুব ভালো লাগতো। এখন চোখে পড়লেই হযরত আলীর কথা মনে পড়ে। হযরত একটি বড় কোম্পানির বড় পদে চাকরি করতেন। জানি না ওই কোম্পানি তার জন্যে কী করছে। তবে যে পত্রিকাটি এ শহরের মানুষকে মানুষের জীবন বেছে নিতে বলে, সাহসী হতে বলে তারা এখন পর্যন্ত সাহসী হযরতের জন্যে কিছুই করেনি। প্রকাশ্যে করলে আমরা জানতাম। যে নিজের জীবন বাজি রাখতে পারে তার চেয়ে বড় সাহসী আর কে? তার এই সাহসকে আমি কুর্ণিশ করি। কয়েকজন তরুণ ফেসবুকে হযরতের অসহায় পরিবারটির জন্যে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে। তাদের টুপিখোলা অভিবাদন।
কিন্তু সেই পত্রিকাটি--- যাকে কবি আবু হাসান শাহরিয়ার বলেছিলেন, আমার সময়ের সবচেয়ে অন্ধকার গলিটির নাম প্রথম আলো--- এখন পর্যন্ত হযরতের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি। এটা ভাবলে ভীষণ কষ্ট হয় আর বৃক্ষহীন বিলবোর্ডের এ শহরে তাদের সাজানো নাটকের দৃশ্যগুলো গুঁড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে। বলতে ইচ্ছে করে নিজেরা উটপাখির জীবন বেছে নিয়ে দিব্যি আরামে আছেন। আর অন্যদের বলছেন মানুষের জীবন যাপন করতে!
বালাদেশ সময় : ২১৩৫ ঘণ্টা, ১৩ মে, ২০১২
আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর
জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর