ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

মুসলমানদের অস্ট্রেলিয়ায় আসা কঠিন হয়ে যেতে পারে

মাহবুব মিঠু, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১২
মুসলমানদের অস্ট্রেলিয়ায় আসা কঠিন হয়ে যেতে পারে

বড়জোর দু’বছর আগে হবে। অ্যাডিলেইডের অন্যতম একটা ব্যস্ত সড়ক কিং উইলিয়াম স্ট্রিট।

বলতে গেলে শহরের একদমই কেন্দ্রস্থল। দুই সুদানি গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জেরে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা বন্ধ থাকে। থেমে যায় কিছু সময়ের জন্য শহরের কোলাহল। সবাই অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করে মারামারি, ভাংচুর। এক দঙ্গল লোক সংগঠিত হয়ে নৈরাজ্য চালাচ্ছে। এই দৃশ্য এখানে স্বাভাবিক নয়।

ঘটনার পরের দিন লাঞ্চ ব্রেকে ক্যান্টিনে বসে টিভিতে আলোচনা শুনছিলাম। একজন আলোচক বলছিলেন, যেসব দেশে সংঘাতই হচ্ছে সমস্যা সমাধানের পথ, ভবিষ্যতে সেসব দেশ থেকে অভিবাসী কিংবা উদ্বাস্তু গ্রহণ করার সময় সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। সংঘাতের মাধ্যমে আমাদের দেশকে কলুষিত করতে দেয়া যাবে না।
উদ্বেগটা বাস্তব। কিন্তু প্রতিক্রিয়াটা ‘অতি প্রতিক্রিয়াশীল’। ওনার হয়তো ধারণা নেই, তাহলে অস্ট্রেলিয়ার ক্রমবর্ধমান বিকাশের জন্য যে মানুষ প্রয়োজন সেটা খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হবে। কারণ উদ্বাস্তু (রিফিউজি) এবং অভিবাসীদের (মাইগ্রান্ট) অধিকাংশ আসে এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলো থেকে। যে দেশগুলোর মানুষ দরিদ্র, কর্ম সংস্থানের তেমন সুযোগ নেই। যেখানে বেশিরভাগ সময় গোলযোগ, সংঘাত লেগেই থাকে। সামাজিক নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। এ কারণেই উদ্বাস্তু হয়ে দেশছাড়া। এমন একটা পরিবেশে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাস করতে করতে তাদের মনস্তত্ত্বে পরিবেশের একটা প্রভাব পড়ে। নতুন পরিবেশে, প্রথম প্রজন্মের মধ্যে তাই স্বাভাবিকভাবে সেই নেতিবাচক কাজগুলো মাঝেমধ্যেই মাথাচাড়া দেয়। তাছাড়া স্বার্থ ছাড়া কোনো দেশ অভিবাসী নীতিমালা প্রণয়ন করে না। চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক এবং সামরিক ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য, পাশ্চাত্য অন্যান্য বন্ধু দেশ থেকে দূরে অবস্থানকারী অস্ট্রেলিয়াকে কিছুটা জনবহুল করার প্রয়োজন আছে। এবং উদ্বাস্তু গ্রহণ করে বিশ্ব দরবারে নিজেদের ইমেজ বাড়ানোও একটা প্রধান লক্ষ্য। যে বা যারা অভিবাসী হয়ে আসছে, তারাও বিভিন্ন নেতিবাচক বাস্তবতার কারণে প্রিয় স্বদেশভূমি ছেড়ে বিদেশে চিরজীবনের জন্য পাড়ি জমায়। তাই অভিবাসন প্রক্রিয়াটা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। আজকে অস্ট্রেলিয়ার এই পর্যায়ে আসার পিছনে অভিবাসীদের অবদানও কম নয়।
 
তাহলে কি এই ধরনের গোলযোগ বা সন্ত্রাস সৃষ্টিকে প্রশ্র্রয় দিতে হবে? মোটেই না। এখানেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে হবে হোস্ট কান্ট্রি (স্বাগতিক দেশ) হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে। নতুন পরিবেশে এসে নতুন মানুষগুলো কিভাবে অভিযোজিত হবে তার জন্য সরকারের যথেষ্ট উদ্যোগ থাকতে হবে। বাহ্যিকভাবে অস্ট্রেলিয়া সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এরপরেও এগুলো কেন ঘটছে সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়াটাও জরুরি। তার বদলে অতি প্রতিক্রিয়া দেখানো আরেক ধরনের ‘চিন্তার উগ্রতা’।

গত সপ্তাহের আরেকটা ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল সিডনি। মহানবী (সা:)কে নিয়ে রুচিহীন সিনেমা বানানোর প্রতিক্রিয়ায় সারাবিশ্বের মতো সিডনিতেও বিক্ষোভ এবং সহিংসতা হয়। সিডনির বিক্ষোভে উগ্রতার পাশাপাশি আরেকটি নেতিবাচক ব্যাপারও ঘটেছে, যেটাকে কোনো অর্থেই সমর্থন দেবার সুযোগ নেই। বড়দের সাথে ছোট ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন উগ্র বার্তা সম্বলিত ফেস্টুন বহন করতে দেখা গেছে। যেমন, "Behead all those who insult the prophet". একই সাথে পত্রিকায় একটা ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ৮ বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে সিডনিতে এক সেমিনারে শিশুদের জিহাদের আহবান জানিয়ে বলেছে, “nobody is too young”.
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড তাৎক্ষণিকভাবে এসব উগ্র ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, "I do not want to see in the hands of anyone, particularly children, offensive signs that call for the killing of others. This is not the Australian way."

কচি বয়সের এই সব বাচ্চাদের সহিংস মিছিলে যেভাবে আনা হয়েছে সেটা নিন্দনীয়। এটা কি ইসলাম? বড়রা যেখানে সহিংসতায় অবতীর্ণ হবে, সেটা জেনেও যারা এই কোমলমতি বাচ্চাদের সেই বিক্ষোভে শামিল হতে উৎসাহ যুগিয়েছে সেটা অকল্পনীয়। এই বাচ্চাদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ড ছোট বয়সেই এদেরকে ঘৃণা প্রকাশের সংস্কৃতি (Culture of hate) শেখাবে, যার স্থান ইসলামে নেই।

এই বিক্ষোভকে নিয়ে দেশের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। একই সাথে যে ঘটনা এই সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছে, সেই ঘৃণ্য সিনেমাটি নিয়ে সমালোচনা করতে খুব কমই দেখা গেছে। বরং কেউ কেউ স্বাধীন মত প্রকাশের দোহাই দিয়ে সেটাকে সমর্থন করার চেষ্টা করেছে। এর বাইরে কিছু শুভবুদ্ধির লোক উভয় ঘটনাকেই নিন্দা জানিয়ে সমালোচনা করেছেন।  

আরেকটি আপত্তিকর কাজ করেছে মিডিয়া। উন্নত বিশ্বে বাচ্চাদের ক্ষতি হতে পারে এমন কোনো ছবি এবং পরিচয় সাধারণত: প্রকাশ করা হয় না। এতে তার সামাজিক এবং অন্যান্য নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটতে পারে। অথচ স্থানীয় পত্রিকাগুলো জিহাদে আহবান জানানো সেই মেয়েটির ছবি প্রকাশ করেছে নামধামসহ। কেন? মেয়েটি মুসলমান বলে তার সেই নিরাপত্তাটুকু পাবার অধিকার নেই? মেয়েটির বয়স বিবেচনায় সে যে বক্তব্য দিয়েছে সেটা তার নিজ থেকে দেবার কথা নয়। তাকে যারা এ কাজে জড়িত হতে উদ্বুদ্ধ করেছে, নজরটা তাদের দিকে দেয়াই কি উচিৎ ছিল না?

সব মিলিয়ে ঘটনা বহুদূর গড়িয়েছে। সেদিন সিডনির ঘটনায় জড়িতদের প্রশ্ন করা যেতে পারে, এই সহিংসতার মাধ্যমে কতোটুকু অর্জন হোল? ইসলাম একটা শান্তির ধর্ম। কিন্তু সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে বাকী বিশ্বকে আমরা কি বার্তা দিলাম?

অভিবাসী হয়ে যারা একটা দেশে আসে তাদেরকেও একটা বিষয় মনে রাখতে হয়। যে নতুন পরিবেশ অভিবাসীদের আকর্ষণ করেছে, নিজের ভালোটাকে বিসর্জন না দিয়ে সেটাকে শ্রদ্ধা জানান উচিৎ। অস্ট্রেলিয়ায় কোনো আঙ্গিকেই সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয়া হয় না। নিজের সন্তানকেও নির্যাতন করলে রাষ্ট্র সেই শিশুকে নিজের জিন্মায় নিয়ে নেয়। পারিবারিক যে কোনো পর্যায়ে যে কোনো সম্পর্কের মধ্যে সহিংসতা সৃষ্ট হলে রাষ্ট্র সেখানে হস্তক্ষেপ করে। ঠিক সেই সমাজ ব্যবস্থায়, প্রকাশ্য রাজপথে দলবদ্ধ হয়ে সংগঠিতভাবে আতংক ছড়ানো অভাবনীয়। সহিংসতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। প্রশ্ন থাকতে পারে, পশ্চিমা সমাজের প্রশ্নবিদ্ধ, দ্বিমুখী আচরণ নিয়ে। স্বাধীন মতপ্রকাশের নামে বারবার ইসলাম এবং মুসলমানদের নিয়ে যে তামাশাগুলো করা হচ্ছে সে বিষয়ের উপরে। রেসিজমের (বর্ণবাদ) মাধ্যমে মানুষকে আঘাত করা যদি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হয়, তবে স্বাধীন মতপ্রকাশের নামে অন্যের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা কি অপরাধ হবে না? কোনো সম্প্রদায়কে ঘৃণা প্রকাশ করে কোনো কাজ করা সভ্যতার পরিচয় বহন করে না। এক্ষেত্রে স্বাধীন মতপ্রকাশের নামে কোন বাহানা শক্তির দম্ভে যুক্তিকে এড়িয়ে যাওয়া মাত্র।

সিডনীর সহিংসতাকে কেন্দ্র করে কিছু মানুষ বলতে শুরু করে, ‘ওদের বিদায় করে দাও। যেখান থেকে এসেছে সেখানে পাঠিয়ে দাও’। এই ‘ওদের’ শব্দটার ভিতরে নির্দিষ্টভাবে গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের চেয়ে বরং মুসলমানদের দিকেই ইঙ্গিতটা করা হয়েছে। গত শুক্রবারে ইয়াহু নিউজের একটা শিরোনাম ছিল, White-pride groups spark protest backlash fears’.  গোপন মেসেজ পাঠিয়ে এই দলটি নিজেদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। তারা বলছে, "Let`s show these bearded goat-herders that we run this country, not them and if they don`t like it, they can f*** off back to whatever s***hole they came from on the leaky boat they showed up on.”
সেই একই প্রশ্ন করা যেতে পারে এই উগ্র রেসিস্ট দলটিকে। সিডনির সহিংসতার সাথে তাদের এই তৎপরতার পার্থক্য কোথায়? সিডনির গোলযোগে আতংকিত হয়েছিল ওখানে ঐ মুহুর্তে উপস্থিত কিছু মানুষ। কিন্তু তথাকথিত White-pride গ্রুপের উন্মাদনায় আতংকিত হয়ে পড়েছে সারা অস্ট্রেলিয়ার সমগ্র মুসলিম কম্যুনিটি।

এই গ্রুপের আরেকটি মেসেজে লেখা হয়েছে, "If these Muslims wanna riot and ruin our beautiful city over some stupid b***s**t, we will give them a f***ing riot to remember," এই বার্তাগুলো এই ধারণা বা বৈধতা দিচ্ছে যে, সংখ্যালঘুর অপরাধের শাস্তি আইনের পাশাপাশি সংখ্যাগুরুরা ব্যক্তিগতভাবে আরেকটি সহিংসতা বা অপরাধের মাধ্যমে দিতে পারবে। সিডনির বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পুলিশ যথেষ্ট তৎপরতা দেখিয়েছে। আইনকে অবজ্ঞা করে বিচারের দায়িত্ব সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী নিজ হাতে নিয়ে নিলে সেটাকে অন্তত্: সভ্যতা বলা যায় না। এর আগেও একটা ভয়াবহ দাঙ্গা হয়েছিল ২০০৫ সালে সিডনিতে যেটা “Cronulla riots” নামে পরিচিত। ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গা নিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং তার প্রতিক্রিয়ায় অন্য অনেক স্থানে এ ধরনের বহু ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। এগুলোর সাথে সিডনির ২০০৫ সালের দাঙ্গা এবং আরেকটি সম্ভাব্য দাঙ্গার হুমকির মধ্যে পার্থক্য কতোটুকু?

যারা একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেনারালাইজ (সাধারণিকরণ) করে সমস্ত মুসলমানদের ঢালাওভাবে দোষারোপ করে দেশ ছাড়তে বলছে, তারাও এখানে বাইরে থেকেই এসেছে। এদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা। হত্যা, ধর্ষণসহ অনেক অভিযোগ এদের বিরুদ্ধে আছে। বৈষম্য এবং সহিংসতার শিকার আদিবাসীরাও তো একই দাবি তুলতে পারে ‘গো ব্যাক সেটেলারস’। কাজেই যে কোনো সাধারণিকরণ প্রতিক্রিয়ার আগে তার যৌক্তিক প্রেক্ষাপটটা আমলে নেওয়া ভাল। এই আচরণ সভ্যতার সৌন্দর্য নয়, শক্তির দম্ভ।

সিডনিতে গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের নির্দিষ্ট করে অপরাধী না ভেবে পুরো কম্যুনিটিকে অপরাধী মনে করা এক ধরনের বর্ণবাদী আচরণ। এই দেশটা বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা, বিভিন্ন ভাষাভাষীর শান্তিকামী মানুষের্। গুটিকয় উগ্রবাদী মুসলমান মানেই পুরো কম্যুউনিটি নয়। আবার এটাও সত্য, গুটিকয় সেটেলারের বর্ণবাদীর প্রতিক্রিয়া পুরো সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতিক্রিয়া নয়। সব সম্প্রদায়ের, সকল শান্তিকামী মানুষকে রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়ে সব ধরনের সহিংসতাকে রুখে দিয়ে দেশটাকে সত্যিকারের বহু সংস্কৃতির আবাসভূমি করতে হবে।

তবে অভিজ্ঞতা বলে, `History is written by the winners.` এখানেও হয়তো তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। সিডনির উগ্রবাদী ঘটনার একটা প্রভাব অচিরেই পড়তে পারে এখানকার অভিবাসী নীতিমালায়। ভবিষ্যতে মুসলিম দেশগুলো থেকে আসা উদ্বাস্তু কিংবা অভিবাসী গ্রহণ করার ক্ষেত্রে হয়তো সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। এমনিতেই স্থানীয় একটা গোষ্ঠী আগে থেকেই উদ্বাস্তু এবং অভিবাসীদের নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। সিডনির ঘটনা তাদের জন্য আরেকটি মোক্ষম অস্ত্র হলো।

ব্যক্তিগত একটা ঘটনার বর্ণনা দেব। বছর তিনেক আগে আমি বর্ণবাদী আক্রমনের শিকার হয়েছিলাম। স্থানীয় পরিচিত সকলে আমার পাশে দাঁড়িয়ে স্বান্ত্বনা দেবার পাশাপাশি একটা বিষয় প্রমাণে ব্যস্ত ছিল ‘It was a bad place and bad time.’  ‘পুরোটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সব সাদারা বর্ণবাদী নয়’। সেটা আমি বিশ্বাসও করি। আজ গুটিকয় উগ্রবাদীর সহিংসতায় গোটা মুসলিম সম্প্রদায়কে দায়ী করা হচ্ছে। মুসলিম কম্যুনিটির নেতারা বারবার বলে আসছেন, এর সংগে পুরো কম্যুনিটির কোনো সম্পর্ক নেই। অনেকেই সেটা মানছে না। এর মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলো, ‘বহুসংস্কৃতির’ সৌন্দর্য হচ্ছে সংখ্যাগুরুর ইচ্ছা মেনে নেয়াতে। এটাই বোধহয় ক্ষমতার সংস্কৃতি!

[email protected]
সম্পাদনা: জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।