পরাগ মণ্ডল উদ্ধার তৎপরতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সফলতা নিয়ে যদিও প্রশ্ন উঠেছে তারপরও ধন্যবাদ জানাই তাদের। পরাগ অপহরণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার মায়ের আতংকিত অপেক্ষা, সেই সাথে পুরো পরিবারের ভয়, শঙ্কা, আতংক, আর্তযন্ত্রণা, নীরব কান্নার শ্বাসরুদ্ধকর ও উত্তেজনাময় প্রহরগুলো দেশের আরো অনেক শিশুর মা উপলব্ধি করেছে ক্ষণে ক্ষণে।
পরাগ অপহরণ ঘটনায় দেশের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্ধার তৎপরতা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই প্রশংসনীয় তৎপরতা আরো অর্থবহ হয়ে উঠবে যদি এই ধরনের অপহরণ ঘটনা আর না ঘটে। কেননা কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তা সমাধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা যেমন জরুরি, তার চেয়ে বেশি জরুরি এ ধরনের ঘটনার জন্ম বা পুনরাবৃত্তি না হওয়ার ক্ষেত্রে তৎপর থাকা।
উল্লেখ্য, অপহরণের আগে ও পরে মাঝখানে যে তিনটি দিন পরাগ অতিবাহিত করেছে এখানে পরাগ শারীরিকভাবে অক্ষত অবস্থায় ফিরে এলেও মানসিকভাবে পরাগের মধ্যে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে সেই ক্ষত কী কখনও শুকাবে? আর গেলেও বা কতটা শুকাবে!
পরাগ বড় হয়ে উঠবে “ভয়”কে সঙ্গী করে। এই ভয় পরাগের সুন্দর, সাবলীল, সুচিন্তায়, শুদ্ধতায়, বেঁচে থাকার পথকে রুদ্ধ করে তুলবে। যার ফলে আমরা একজন স্বাভাবিক পরাগের প্রতিভাকে হারাবো। যে প্রতিভা হতে পারতো ‘দেশের সৃষ্টিশীল মাথা’ যা এখন আমাদের দেশের জন্য খুবই দরকার।
প্রশংসা, সাধুবাদ, কৃতজ্ঞতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজের গতিকে প্রসারিত করবে আশা করি। তবে পরাগ অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সুনিশ্চিত না হলে কোনো মায়ের আশংকা দূর হবে না এবং পরাগের পরিবার নির্ভয়ে সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করতে পারবে না। কাজেই পরাগের পরিবার যাতে নির্ভয়ে জীবন যাপন করতে পারে এবং পরাগ যাতে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে তার দায়িত্ব সরকার ও রাষ্ট্রকে নিতে হবে।
লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১২
আরআর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর [email protected]