ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

টিভির অসুস্থ প্রতিযোগিতা বনাম ইসির চ্যালেঞ্জ

জাহিদ নেওয়াজ খান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৩
টিভির অসুস্থ প্রতিযোগিতা বনাম ইসির চ্যালেঞ্জ

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যে জাতীয় নির্বাচন হয়, সেখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার চেয়ে বেশিরভাগ দলের নির্বাচন বিরোধিতাই ছিল মুখ্য। মোটামুটি একদলীয় নির্বাচনের ফল নিয়েও কারো তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না।

১৫ ফেব্রুয়ারির ওই সংসদ নির্বাচন এবং এর আগে কয়েকটি উপনির্বাচন কাভার করলেও সাংবাদিক হিসেবে আমার জাতীয় নির্বাচন কাভার করার অভিজ্ঞতা তাই ৯৬-এর ১২ জুন।

ঠিক আজকের এই দিনে ১৯৯৬ সালে যখন সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তখন দেশে টেলিভিশন মানে শুধু সরকারি বিটিভি। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের বিদায়ের আগে পর্যন্ত এই সরকারি টেলিভিশনে মিডিয়া ক্যু’র ইতিহাস থাকলেও তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ততোদিনে বিটিভি সেই কালো অধ্যায় থেকে বেরিয়ে এসেছে। তাই ৯১’র ২৭ ফেব্রুয়ারির মতো ৯৬’র ১২ জুন সন্ধ্যা থেকে বিটিভিতে যে নির্বাচনী বুলেটিনগুলো প্রচার হচ্ছিলো তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কারও কোনো প্রশ্ন ছিল না।

২০০১ এর ১ অক্টোবরের নির্বাচন পরিচালনা করা পরের তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও সে রাতে বিটিভিতে যে ফল ঘোষণা করা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি। ৮৬ কিংবা এর আগের মতো বিটিভি সেদিন নিজে তৈরি কোনো ফল ঘোষণা করেনি। মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনের আগে অনেক খেলাধূলা হলেও নির্বাচন কমিশন যে রেজাল্ট দিয়েছে তাই প্রচার করেছে বিটিভি।

তবে তখন বিটিভি শুধু আর একা নয়। আরও চার বছর আগে থেকেই সংবাদসহ চলে এসেছে একুশে টেলিভিশন। নির্বাচনের দিন থেকে সংবাদ প্রচার শুরু করে চ্যানেল আই। আমি তখন চ্যানেল আইয়ে কাজ করি না, বার্তা সংস্থা ইউএনবির রিপোর্টার। ওই রাতে শেরে বাংলা নগরের নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে মৌচাকে ইউএনবি অফিসে নির্বাচনী ফলাফলের আপডেট জানাচ্ছিলাম। পরদিন সকালের দিকে কিছুটা হৈ-চৈ। চ্যানেল আই-এর রিপোর্টার, ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ার থেকে বন্ধু শারমিন রিনভীর দৌড়-ঝাঁপ, বাড়তি ব্যস্ততা।

কারণ খুঁজে জানা গেলো, অন্য কারো নয়; নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুসরণ করে চ্যানেল আই যে রেজাল্ট আপডেট দিয়েছে তাতেই জটিলতা। সেই ওয়েবসাইটেও কোনো ভুল নেই, তারপরও কাউকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা না করা নিয়ে বড় সমস্যা।

খোঁজ করে যেটা জানা গেলো তা এইরকম: ভোট কেন্দ্রগুলো থেকে প্রিসাইডিং অফিসার এবং প্রার্থীদের এজেন্টদের সইসহ রেজাল্ট যাচ্ছে সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কাছে, সহকারি রিটার্নিং অফিসার তার সইসহ ফল পাঠাচ্ছেন রিটার্নিং অফিসারের কাছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যারা জেলা প্রশাসক। সেই ফলাফল রিটার্নিং অফিসার তার অফিস থেকে এক দফা ঘোষণার পাশাপাশি পাঠিয়ে দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্ধারিত নম্বরে নির্ধারিত কর্মকর্তার কাছে, যাদের পরস্পরের কাছে এক ধরণের পাসওয়ার্ড বা কোড নম্বর আছে। নির্বাচন কমিশন সেই রেজাল্ট ঘোষণার পাশাপাশি একটি করে কপি বিটিভিসহ গণমাধ্যমকে দিচ্ছে যারা তার ভিত্তিতে জানাচ্ছে সর্বশেষ আপডেট।

এ ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনের আইটি শাখাও একটি করে কপি পাচ্ছে। আর তারা ইনপুট দিয়ে আপডেট করছে সাইট। এখন যেটা হয়েছে, ধরা যাক একটি আসনে মোট কেন্দ্র ৮০টি। নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে ৭২টি কেন্দ্রের ফল পেয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীর চেয়ে প্রথম স্থানে থাকা প্রার্থী এতো বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন যে বাকি আট কেন্দ্রের মোট ভোট তার চেয়ে কম। স্বভাবতই দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রার্থী ওই আট কেন্দ্রের সব ভোট পেলেও জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। সুতরাং ওয়েবসাইটে যে ডাটা ইনপুট করা আছে, রেজাল্টের যে ডাটা দেওয়া হয়েছে, তাতে অংকের হিসাবে ওয়েবসাইট একজনকে বিজয়ী হিসেবে পাচ্ছে, প্রথম স্থানে থাকা প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করছে ওয়েবসাইট। আর নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের ভিত্তিতেই তাদের বিজয়ী হিসেবে প্রচার করেছে চ্যানেল আই।

কিন্তু ভোট হয়েছে এমন সব কেন্দ্রের ফল না আসা পর্যন্ত কাউকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত বা বিজয়ী ঘোষণা করবে না নির্বাচন কমিশন। শুধুমাত্র কোনো কেন্দ্রে কোনো কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে গেলে ওই কেন্দ্র বা কেন্দ্রগুলোর মোট ভোট যদি প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের মধ্যে যে ব্যবধান তার চেয়ে কম হয় তাহলেই কেবল অযথা নতুন ভোটে না গিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রথম স্থানে থাকা প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের সেই রাতে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে এরকম বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে সঠিকভাবেই নির্বাচিত ঘোষণা করায়, আর চ্যানেল আই-এ তা প্রচার হওয়ায় আপত্তি উঠে। নিয়মের বাধ্যবাধকতায় নির্বাচন কমিশন তাই সব আসনের সব ফল না আসা পর্যন্ত তাদের ওয়েবসাইট সাময়িক বন্ধ রাখে।

ওইদিন কারো ভুল হয়নি। তারপরও নিজের অফিশিয়াল সাইটটি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পরে হয়তো কমিশন তার সাইটে কিছু পরিবর্তন এনেছে যাতে পুরো ফলাফলের ভিত্তিতে কাউকে নির্বাচিত ঘোষণা না করা পর্যন্ত ইসির সাইট শুধু অংকের হিসাব করে কাউকে বিজয়ী ঘোষণা না করে দেয়।

তবে টেলিভিশনে এরকম সতর্কতার উল্টোচিত্র দেখা যাচ্ছে গত জাতীয় নির্বাচন থেকে।   ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোটাভুটির পর একটি টেলিভিশন চ্যানেল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে ৩০০ আসনেরই ফলাফল দিয়ে দিয়েছিল। এরপর পিছিয়ে না পড়ার চেষ্টায় অন্য চ্যানেলগুলোও এই অনৈতিক এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। ৯৬-এ যেখানে মাত্র একটি টেলিভিশন এবং একটি বেতার ছিল, ২০০১ সালে চারটি টেলিভিশন, ২০০৮ সালে সেখানে প্রায় ২০টির মতো টিভি চ্যানেল আর কয়েকটি বেতার। এই প্রতিযোগিতায় তাই মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। একেক চ্যানেলে একেক সময় একেক রকম ফলাফলের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় সাধারণ মানুষকে তাই প্রকৃত ফলাফল জানতে শেষ পর্যন্ত বিটিভির ওপরই নির্ভর করতে হয়।

বেসরকারি চ্যানেলগুলোর এই অপরিণামদর্শী প্রতিযোগিতায় তথ্য পাওয়ার সূত্র ছিলো কেন্দ্রীয়ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন পরিচালনাকারী দপ্তর, স্বয়ং প্রার্থী, প্রার্থীদের এজেন্ট, পুলিশ কন্ট্রোল রুম এবং গোয়েন্দা সংস্থা। জাতীয় নির্বাচনে এইরকম অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বেসরকারি চ্যানেলগুলো কিছুটা খেলো হলেও চট্টগ্রামের কিছুটা ছাড়া স্থানীয় অন্য নির্বাচন এবং উপনির্বাচনেও সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতা অব্যাহত ছিল। এই প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত কোনো ফল বিপর্যয় না ঘটলেও মানুষের মধ্যে সন্দেহ এবং বিশ্বাসহীনতার জন্ম দিয়েছে অনেক।

আগামী ১৫ জুন চার সিটিতে যে নির্বাচন, যে নিবাচনে মেয়র প্রার্থীদেরকে কেন্দ্র করে প্রধান দুই দল নির্বাচনকে জাতীয় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার রূপ দিয়েছে, টেলিভিশন চ্যানেলে তার ফল ঘোষণা তাই নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। এবারও যদি প্রার্থী, প্রার্থীদের এজেন্ট, গোয়েন্দা সংস্থা এবং পুলিশ কন্ট্রোলরুমের বরাতে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় কিংবা নির্বাচন কমিশনের আগে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ফল ঘোষণা করা হয় তাহলে তা বড় ধরনের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। মূল ফল বদলে না গেলেও আগে-পরে ভোটের হিসাবে কোনো পার্থক্য থাকলে তা জন্ম দিতে পারে বড় কোনো প্রশ্নের।

নির্বাচনের ফল ঘোষণায় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে নির্বাচন কমিশন কোনো বিধির আওতায় আনলে তা হয়তো অনেকের পছন্দ হবে না, কোনো বেড়াজাল দিলে তার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু ফল ঘোষণা নিয়ে যে কোনো বিতর্ক এড়াতে, নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখতে, টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর নিজের দায়িত্বও কম নয়। এজন্য তাদের নিজ থেকেই উদ্যোগী হওয়া জরুরি।

এ জরুরি বিষয়টা আর কিছুই নয়। সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাগজের প্রমাণ ছাড়া টেলিভিশন পর্দায় কোনো ফল প্রচার করা হবে না। জাতীয় নির্বাচনে হাজার হাজার কেন্দ্রে দূরের কথা, একটি চ্যানেল যেহেতু ১৫ জুনের নির্বাচনে কয়েকশ কেন্দ্রেই সংবাদ কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে না; তাই কাগজের প্রমাণে সেই রেজাল্ট পাওয়ার জায়গা হলো রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়। সেখান থেকে ফল ঘোষণা পর্যন্ত টেলিভিশনগুলো কি ধৈর্য দেখাতে পারবে না!

একটা বিষয় মনে রাখা উচিত উন্নত সব দেশই প্রযুক্তিতে আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তারপরও টেলিভিশনের পর্দায় নির্বাচনের ফল জানানোতে আমাদের দেশের চেয়ে তাদের বেশি সময় লাগে, কারণ ওই ফলটা সুনির্দিষ্ট কোনো কর্র্তৃপক্ষ দ্বারা ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করে। তবে নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে যখন তারা সরাসরি সম্প্রচারে যায়, তখন কিছু ক্ষেত্রে রিপোর্টার আগাম রেজাল্ট জানাতে পারেন। সেই রেজাল্ট অবশ্য আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে পর্যন্ত এক পক্ষের দাবি হিসেবেই উল্লেখ করা হয়। আনুষ্ঠানিক ফলাফলে তা ব্যবহার করা হয় না।

শৈশব পেরোনো আমাদের টেলিভিশনগুলো যতো দ্রুত বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারবে ততোই মঙ্গল। অনলাইনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অপ্রাতিষ্ঠানিক অনলাইন মাধ্যমগুলো হয়তো বিষয়টি বিবেচনায় নেবে না, না নিলেও ক্ষতি নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক ধরনের আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ হওয়ায় সেখানেও দায়িত্বশীলতার বিষয়টি ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মতো প্রাতিষ্ঠানিক অনলাইন মিডিয়াকে অবশ্যই ভাবতে হবে যে, তারা কি নির্বাচনের অনানুষ্ঠানিক কথিত ফলাফল প্রচার করে ঝুঁকির মধ্যে থাকবে নাকি একটি নীতি অনুসরণ করে সাংবাদিকতা করবে।

এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, রিটার্নিং অফিসারের ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করলে তিনি তো কোনো কেন্দ্রের ফলাফল পাল্টেও দিতে পারেন। বর্তমান বাস্তবতায় এরকম আশংকা খুবই কম। আর যদি সত্যিই রেজাল্ট পাল্টে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে ওই কেন্দ্রের ফল সত্যিই কোনো রিপোর্টার কিংবা টেলিভিশনের কাছে থাকলে সেটা চ্যালেঞ্জ করা খুবই সম্ভব, সেটাও হতে পারে বড় কোনো খবর।

কিন্তু এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই যে, কোনো লিখিত প্রমাণের ভিত্তিতে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ঘোষণার আগে টেলিভিশনগুলোতে ফল দেখানো হয়। এর পুরোটাই হয় প্রার্থী কিংবা তার নির্বাচনী এজেন্ট এবং পুলিশ কন্ট্রোলরুম অথবা গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে। যদি প্রার্থী অথবা তার এজেন্ট হন তাহলে সেটা তাদের দাবি, আর যদি পুলিশ কন্ট্রোল রুম অথবা গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে হয়; তাহলে নিশ্চিতভাবেই সুনির্দিষ্ট সূত্র হিসেবে তারা তাদের নাম উল্লেখ করতে রাজি হবে না। যে সূত্র উল্লেখ করা যায় না, তাদের তথ্যের ভিত্তিতে কিভাবে টেলিভিশনে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা যায়!

জাহিদ নেওয়াজ খান, বার্তা সম্পাদক, চ্যানেল আই
[email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, জুন ‍১২, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।