ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য দল

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মজিদ খান শিক্ষানীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ জাফর-জয়নাল-দীপালি-কাঞ্চনসহ শহীদ ছাত্র নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস পালন করেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে শিক্ষা অধিকার চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেলের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, রাজনৈতিক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জাহিদ সুজন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির ও ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাঁকন বিশ্বাসসহ অন্যান্য নেত‍ারা।

এদিকে বেলা ১২টায় কেন্দ্রীয় প্রগতিশীল ছাত্র জোট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জোটের সমন্বয়ক ও ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকি আক্তার, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল, ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাইমা খালেদ মনিকা ও ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।
স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মিছিলসমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল বলেন, বর্তমান সরকারের স্বৈরাচারিতা এরশাদকে ছাপিয়ে গিয়েছে। সরকার পাঠ্যপুস্তককে নির্লজ্জভাবে দলীয় পোস্টারে পরিণত করেছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধ্বংসের জন্য প্রশ্নফাঁস করে তা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসের চেতনা ছিল তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদের স্বৈরাচারী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সেই স্বৈরাচারকে সাথে নিয়ে চরম স্বৈরতন্ত্রকেই পুনরুজ্জীবিত করেছে।

জোটের সমন্বয়ক লাকি আক্তার বলেন, সরকার সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পকে পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। যেকোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমনের জন্য রাষ্ট্রীয় বলপ্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছে সরকার।

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রসমাজকে সরকারের অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান লাকি আক্তার।

১৯৮৩ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন এরশাদ সরকারের মজিদ খান শিক্ষানীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন জাফর-জয়নাল-দীপালি-কাঞ্চনসহ অন্তত ১১ জন আন্দোলনকারী। গ্রেফতার হন ১৩৩১ জন। মজিদ খান শিক্ষানীতিতে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের সুপারিশ করা হয়। সেখানে, শিক্ষার বেতনের ৫০ ভাগ শিক্ষার্থীদের থেকে আদায় করা এবং রেজাল্ট খারাপ হলেও অতিরিক্ত ৫০ ভাগ বেতন দিলে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
এসকেবি/জিপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ