বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন বক্তারা।
জাতীয় বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করা ও স্বল্পমূল্যে গ্রামীণ রেশনিং ব্যবস্থা চালুসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ শেষে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয় সংগঠনটি।
সমাবেশে বাংলাদেশ কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সাইদুল হক বলেন, এ সরকারের কানে পানি ঢোকে না। এরা জনগণের টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে। কৃষিখাতের যেটুকু বরাদ্দ আছে সেটা লুটপাট করে খায় সরকারি দলের লোকজন। কৃষকলীগ নাম দিয়ে তাদের লোকজন লুটপাট করে। সরকারি দলের লোকজন ভুয়া কৃষক সেজে ধান চাল বিক্রি করে সরকারের কাছে। লুটপাটের যে সাম্রাজ্য তৈরি করা হয়েছে, এ সাম্রাজ্য ভাঙতে হবে। কৃষিতে ভর্তুকি বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বাড়াতে হবে।
৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৯ এপ্রিল বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন।
বাংলাদেশ বিপ্লবী কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুস সাত্তার নলেন, বিপুল টাকা ব্যয় করে ক্যান্টনমেন্ট করা হয়, কিন্তু আমাদের ছেলেরা শিক্ষা পায় না। লড়াই করে কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কারণ এ অবৈধ সরকারের কাছ থেকে আন্দোলন ছাড়া দাবি আদায় করা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি এস এ সবুর বলেন, ৯ দফা দাবি আদায় করতে হলে গ্রামেগঞ্জে সকলকে সংঘবদ্ধ করতে হবে। এ দেশের কৃষি অর্থনীতির মূল নদী ও কৃষি জমি। উন্নয়নের নামে কৃষি জমি নষ্ট করা হচ্ছে, এ কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ বিপ্লবী কৃষক সমিতির সভাপতি আনসার আলী দুলাল, বাংলাদেশ ক্ষেত মজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
টিএম/এমজেএফ