ঢাকা: ১৯৬১ সালে সাঁতরে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন বিক্রমপুরের ছেলে ব্রজেন দাস। পুরো বিশ্বজুড়ে নাম ছড়িয়ে দিয়েছিলেন লাল-সবুজের দেশ বাংলাদেশের।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা সাঁতারুদের অংশগ্রহণে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো সাঁতার নিয়ে দেশের প্রথম ট্যালেন্ট হান্ট কর্মসূচি ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’। বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের আয়োজনে ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় রাজধানীর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সের সুইমিং পুলে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে অনবদ্য এই সাঁতারের প্রতিযোগিতা।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সাংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান ও সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতি এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
এসময় সাঁতারের উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘জীবনের জন্য সাঁতার, তাই দেশের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলা গুলোতে সুইমিংপুল তৈরি করা দরকার। আমাদের সাঁতার আরও এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বদরবারে অলিম্পিক, এশিয়ান গেমস ও এসএ গেমসের মতো প্রতিযোগিতায় আমরা আরও সাফল্য পাব। ’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার জানান, ‘সাঁতারের এমন কর্মসূচির জন্য সুইমিং ফেডারেশনকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সুইমিং ফেডারেশনের তৎপরতায় সদ্য সমাপ্ত এসএ গেমসে সাঁতারে দুটি স্বর্ণ জিতে বাংলাদেশকে সম্মান এনে দিয়েছেন ‘শিলা’। বাংলাদেশ ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশ্বে একটি উজ্জ্বল নাম। আজ এই ক্রীড়ার জন্যই বাংলাদেশকে সবাই সম্মান করে। সুইমিং দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে সামনের দিকে তুলে ধরতে চাই। ’
সভাপতির বক্তব্যে নৌ-প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন জানান, ‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সেরা সাঁতরু খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। যারা দেশকে এনে দেবে বিরল সম্মান। ’
উদ্বোধনী দিনের প্রতিযোগিতায় হিটে অংশ নেন ঢাকা জেলার সাঁতারুরা। অনুষ্ঠান শেষে হিটে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বের বাছাই চলবে ১৯ মে থেকে ০২ অক্টোবর পর্যন্ত।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৮৯টি উপজেলা হতে বাছাইকৃত সেরা সাঁতারুদের ঢাকায় এনে দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
সারা দেশের প্রায় ২৫ হাজার সাঁতারু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ৬৫ লাখ টাকার পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ১৯ মে ২০১৬
এইচএল/এমআর