ঢাকা, বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য খেলা

ব্রজেন দাসের গ্রামে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৬
ব্রজেন দাসের গ্রামে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’

ঢাকা: চলমান ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ ট্যালেন্ট হান্ট মুন্সিগঞ্জে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে আয়োজিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ মে) তৃনমূল পর্যায়ের ১১০ ক্ষুদে সাঁতারু এতে অংশ নেয়।

 

অংশ নেওয়াদের মাঝে ১৮ জন বালক ও ১২ জন বালিকা দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় সুইমিং ফেডারেশন এই ট্যালেন্ট হান্ট আয়োজন করে। দিনভর ক্ষুদে সাঁতারুদের পদচারণায় মুখরিত হয় ব্রজেন দাসের বিক্রমপুর তথা মুন্সিগঞ্জ। শহরের সুইমিং পুলে এই বাছাইয়ে আট গ্রুপে ৩২টি ইভেন্টে তারা অংশ নেয়।

প্রতিযোগিতা শেষে মুন্সিগঞ্জ জেলা হতে নির্বাচিত এই সেরা ৩০ জন সাঁতারুদের হাতে মেডেল, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

উদ্বোধন এবং বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন সাবেক সাংসদ ও বিশিষ্ট সাঁতারু এবং  মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এডিএম এ কে এম শওকত আলম মজুদারের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী কমান্ডার মাহমুদুর রহমান ও আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক জোনায়েদ হোসেন প্রমুখ।

‘প্রথম সুইমিং ট্যালেন্ট হান্ট’ নামের এই প্রতিযোগিতা হবে ৬৪ জেলায়। এখান থেকে ১০০০ জনকে নির্বাচিত করা হবে। দ্বিতীয় বাছাইয়ে ১৬০ জনকে নির্বাচিত করা হবে। তাদের দেয়া হবে তিন মাসের প্রশিক্ষণ। পরে বাছাই করা হবে ৬০ জনকে। তাদের দেওয়া হবে উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ।

ঢাকার বাইরে মুন্সিগঞ্জ দিয়েই শুরু হয়েছে আলোচিত এই প্রতিযোগিতা। এশিয়ার প্রথম ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী ব্রজেন দাস এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে মোশারফ হোসেন খান ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। তাদের পূণ্যভূমি মুন্সিগঞ্জ যেন আবারো জেগে উঠেছে। যাতে আবার বাংলায় উঠে আসে ব্রজেন দাস ও মোশারফরা।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবান সাঁতারুদেরকে তুলে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে গত ১৯ মে হতে এ সাঁতারু অন্বেষণ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৮৯টি উপজেলা হতে প্রায় ২৫ হাজার সাঁতারু এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দেশের ৬৪ টি জেলায় পর্যায়ক্রমে প্রতিযোগিতার প্রথম পর্যায়ে বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে যা আগামী ০২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।

ঢাকা বিভাগে আগামী ২৫ মে নারায়ণগঞ্জে, ২৬ মে নরসিংদীতে,  ২৮ মে কিশোরগঞ্জে, ২৯ মে নেত্রকোনায়, ৩০ মে ময়মনসিংহে, ৩১ মে শেরপুরে, ০১ জুন জামালপুরে, ০২ জুন টাঙ্গাইলে এবং ০৪ জুন গাজীপুরে বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগে বাছাই অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে সারা দেশ হতে প্রথম পর্বে মোট ১০০০ জন প্রতিভাসম্পন্ন সাঁতারু বাছাই করে ঢাকায় আনা হবে।

‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় ৪টি বয়সভিত্তিক গ্রুপে (১১-১২ বছর, ১৩-১৫ বছর, ১৫-১৭ বছর  এবং ১৮ থেকে তদুর্ধ বয়সী) নারী ও পুরুষ সাঁতারুরা অংশগ্রহণ করছে।
 
প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বে ১০০০ জনের মধ্যে পুনরায় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৬০ জনকে নির্বাচিত করে বিদেশি প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ৩ মাসব্যাপী নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। দ্বিতীয় পর্বে সেরা ১৬০ জনের প্রত্যেককে মেডেল, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ প্রদান করা হবে।

প্রশিক্ষণ শেষে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৬০ জন হতে সেরা ৬০ জন সাঁতারু নির্বাচন করা হবে। এই সেরা ৬০ জন সাঁতারুর প্রত্যেককে মেডেল, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে। তাছাড়া ৪টি ইভেন্টের সেরা ৪ জন নারী এবং ৪ জন পুরুষ সাঁতারুকে ৫ লক্ষ করে টাকা প্রদান করা হবে। এভাবে তিনটি পর্বে সর্বমোট ৬৫ লক্ষ টাকার পুরুস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সেরা ৬০ জন সাঁতারু বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনে যোগ দেবেন এবং তাদেরকে বিশ্বমানের সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, তাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার সুইমিং ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বহন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ২৪ মে ২০১৬
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য খেলা এর সর্বশেষ