ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

কৃষককে রেখে এগিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা ভুল: মেনন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
কৃষককে রেখে এগিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা ভুল: মেনন

ঢাকা: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, করোনাকালে যদি কৃষক ফসল উৎপাদন না করত, আমরা খেয়ে পরে বাঁচতে পারতাম না। পৃথিবীর অনেক দেশেই করোনাকালে খাদ্যাভাব কী প্রকট হয়েছে তা আমরা জানি।

তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর ১৪ কোটি মানুষ অনাহারে। কৃষক-কৃষির কথা বাদ দিয়ে কেবলমাত্র কিছু উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমরা সামনে এগিয়ে যাব, তা মনে করা ভুল।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলা কর্মসূচিতে কৃষি প্রশ্ন ও বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

মেনন বলেন, বর্তমানে আমরা ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সর্বত্র ঝা-চকচকে বিভিন্ন বিল্ডিং-কারখানা দেখছি। দেশে বর্তমানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন অবিশ্বাস্য। আমরা এখন ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছি। এখন আর এনালগ চিন্তা দিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারি না। কিন্তু আমরা আমাদের দেশের কৃষককে এনালগ সিস্টেমের মধ্যে রেখে দিয়েছি।  

তিনি বলেন, কৃষক-কৃষির কথা আমাদের শহরের মানুষের সেভাবে আকর্ষণ করে না। কিন্তু এসব বাদ দিয়ে পথচলার অর্থ কী, তা আমরা বুঝতে পেরেছি করোনাকালে, যখন আমাদের গ্রামে ফিরে যেতে হয়েছিল এবং গ্রামে ফিরে গিয়ে কৃষকের ওপরেই নির্ভর করতে হয়েছিল।  

তিনি আরও বলেন, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলাম, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো ভেবেছিলাম, সেখানে কৃষি খাত নিয়ে ভাবনা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ আইএমএফের ঋণের ফাঁদে পা দিয়েছে মন্তব্য করে মেনন বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের ভিত্তিতে আমরা যে আমাদের বড় বড় বাজেট তৈরি করেছিলাম, সেগুলো আমরা আর চালাতে পারছি না। এজন্য আমাদের ডলার সংকট দেখা দিয়েছে এবং তা থেকে বের হতে আমাদের আইএমএফের সব শর্ত মেনে ঋণ নিতে হয়েছে। শর্ত পূরণ না হলে তারা ঋণ স্থগিত করবে বা প্রত্যাহার করবে। অর্থাৎ নাকে মধ্যে বড়শি আটকে দিয়েছে। তারা যখন টান দেবে, তখন মাছ ডাঙায় উঠবে।

তিনি বলেন, আইএমএফের শর্ত অনুসারে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম সমন্বয়ের নামে বাড়ানো হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়লে সারের দামও বাড়বে, এটিই স্বাভাবিক। তখন কৃষি ক্ষেত্রেও ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হবে। এই কঠিন সত্য যদি আমরা বুঝতে না পারি, তাহলে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ হওয়ার পথে আমরা আবার হোঁচট খাব।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক। আরও বক্তব্য দেন সমাজসেবী শামসুল হুদা।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এসসি/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।