ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঘাটাইলে আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
ঘাটাইলে আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।

পরে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, গত ২৮ জানুয়ারি ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খানের অনুসারীরা বেশির ভাগই কমিটি থেকে বাদ পড়েন। এজন্য গত রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তার অনুসারীরা সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন। পরে তারা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সোমবার বিকেলে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে। আমানুর রহমানের অনুসারীরাও একই সময় বিক্ষোভের কর্মসূচি দেয়। দুপুরের পর থেকেই উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় কার্যালয়ে সমবেত হতে থাকেন। অপরদিকে আমানুরের অনুসারীরা কলেজ মোড় এলাকায় সমবেত হন। মাঝে পুলিশ অবস্থান নেয়।

এ সময় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমানুর ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। আমানুর অনুসারীরা শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
বিকেল ৪টার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মিছিল বাসস্ট্যান্ডের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। মিছিলটি বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি এলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আমানুরের অনুসারীরাও বাসস্ট্যান্ডে ওই মিছিলের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় উভরপক্ষের মধ্যে ঢিল ছোড়া এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সংঘর্ষের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম জানান, আমানুরের অনুসারীদের হামলায় দেওপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর আলম খান ও দিঘলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম আহত হন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুলতান উদ্দিন শাহীন, ঘাটাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য বজলুর রহমান ও যুবলীগ কর্মী শাহীন মিয়াকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান উপজেলা সদরে ইউসিবি ব্যাংকের কাছে অবস্থান করে এ হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘাটাইলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি সরকার ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন।

এদিকে আমানুর রহমান খান অনুসারী অংশের নেতা তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, জামায়াত-বিএনপি ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের নিয়ে শহিদুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করেছেন। সেখানে ত্যাগী নেতাদের পদ বঞ্চিত করা হয়েছে। বঞ্চিত নেতারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করেছিল। শহিদুল ইসলামের অনুসারীরা উস্কানি দিয়ে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।