ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সার্বভৌমত্ব বিসর্জনকারী’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সার্বভৌমত্ব বিসর্জনকারী’

ঢাকা: ‘বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভারতের তাবেদার এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিসর্জনকারী’—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।

তিনি বলেন, কখনো কখনো প্রশ্ন ওঠে যে, আমাদের কি সংযত হয়ে কথা বলতে হবে, এ সরকারকে পরিবর্তন করতে হলে! রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে হলে কি আমাদের অনেক বিবেচনা করে কথা বলতে হবে! আমি কাউকে কোনো ইঙ্গিত করে কথা বলতে চাই না।

কিন্তু আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, আমরা আমাদের ভূমিকা (বিরোধী দল হিসেবে) সঠিকভাবে পালন করছি না। যদি ভূমিকা পালন করতাম তাহলে কিন্তু দেশের এই অবস্থা হতো না।

মঙ্গলবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘ফারাক্কা লং মার্চ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মোস্তফা জামাল হায়দার। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি)।

মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, এই প্রথম কমরেড সাইফুল হকের মতো একজন বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ এত চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন যে, ভারতীয় আগ্রাসনের জন্য আমরা আজকে পিছিয়ে আছি। আমাদের নীতিগত আদর্শ এবং লক্ষ্য কী তা নির্ধারণ করা দরকার। শুধু ক্ষমতার রদবদল, নাকি বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তন কোনটা হবে? বিরোধী দল কারো মুখে এমন কথা উচ্চারণ হয় না, যেটা সাইফুল হক বলেছেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে স্বাধীনতার আগে এবং পরবর্তীতে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানের মতো নেতারা দেশের জন্য যে ভূমিকাটুকু পালন করেছেন আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বা বিরোধী দল কেউই করতে পারেনি।

জিয়াউর রহমান ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে সমর্থন যুগিয়েছেন উল্লেখ করে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, জিয়াউর রহমান বলেছেন যে, হুজুর আজকে দেশকে বাঁচাতে হলে সকলে মিলে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এমন নেতা নেই আজকে।

যে পরিবেশ ও পরিপ্রেক্ষিতে ফারাক্কা লং মার্চ হয়েছিল, তা আজও বিরাজ করছে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এজন্য দেশ ও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। না হলে ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি কেবল নয়, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। এদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

আলোচনা সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আগামী দুই তিন মাস বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান দখলদার সরকার ওরা ওদের জমিদারি বহাল রাখবে নাকি বাংলাদেশের মানুষ জিতবে? বাংলাদেশ জিতবে, আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে আমরা এই রাজনৈতিক প্রশ্নটা মীমাংসা করব। মানুষ রাজপথে নামতে শুরু করেছে। মানুষের ঐক্যের মুখে কোনো চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। এবার বিরোধীদল ও জনগণ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি।

আইএফসি’র সমন্বয়কারী মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাফি রতন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।