ঢাকা: বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলে মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাধ্য বা ক্ষমতাচ্যূত করতে হবে। ’
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘গণতন্ত্র রক্ষার অতন্ত্র প্রহরী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও স্বৈরাচারের সাথে অশুভ আঁতাতের জালে আবদ্ধ গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
দেশনেত্রী সাংস্কৃতিক পরিষদ এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
দেশনেত্রী সাংস্কৃতিক পরিষদ মহাসচিব এমএ রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় আরও অংশ নেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ মালেক, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
নোমান বলেন, ‘এ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। শেখ মুজিবও ক্ষমতায় থাকাকালে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। ’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশ যখন অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে তখন শেখ মুজিব ইয়াহিয়া-ভুট্টোর সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে জিয়া সেদিন জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ’
নোমান আরও বলেন, ‘বাকশাল কায়েমের পর জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। ’
আওয়ামী লীগকে অতীত স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৮৬ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনা জনগণের সঙ্গে বেঈমানী করে এরশাদের সঙ্গে আপোস করে নির্বাচনে গিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া জনগণের সঙ্গেই ছিলেন। ’
নোমান বলেন, ‘খালেদা জিয়অ গণতন্ত্র রক্ষায় আপোসহীনভাবে জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছিলেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১০