ঢাকা: সংবিধান সংশোধন ও হিজাব (পর্দা) সংক্রান্ত দু’টি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।
বুধবার সন্ধ্যায় মগবাজার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দু’টি গৃহীত হয়।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বলা হয়, ‘সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার শুধু জাতীয় সংসদেরই আছে। দেশের সর্বোচ্চ আইন হলো সংবিধান। এতে আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের কার্যাবলী সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। সংশোধনের পন্থাও স্পষ্টভাবে সংবিধানেই বর্ণনা করা আছে। এতে নতুন কোনো ধারার সন্নিবেশ, বাতিল বা নতুন কোনো আইন প্রণয়ন করতে হলে তা অবশ্যই সংসদেই করতে হবে। সংসদকে পাশ কাটিয়ে অন্য কোথাও তা করা যাবে না। ’
সংবিধান সংশোধন করে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার নামে সরকার জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে।
বৈঠকে বলা হয়, ‘জামায়াত গভীর উদ্বেগের সাথে ল্য করছে যে, বর্তমান সরকার মতায় আসার পর বিভিন্ন মীমাংসিত ইস্যুকে সামনে এনে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করে জাতিকে পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ’
হিজাব বা পর্দা পালন করা মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরজ উল্লেখ করে বৈঠকে বলা হয় ‘মুসলিম নারীদের হিজাব বা পর্দা পালন করা যেখানে আল্লাহ ফরজ করেছেন, তা ঐচ্ছিক বিষয় পরিণত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। ’
বৈঠকে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। এ দেশের নারীরা ধর্মীয় বিধি-বিধানের ওপর শ্রদ্ধা রেখে আবহমান কাল ধরেই হিজাব বা বোরকা পরিধান করে আসছে। হঠাৎ করে বাংলাদেশকে ধর্মনিরপে রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে নারী সমাজকে হিজাব বা পর্দা পালনে বাঁধা দেয়ার প্রচেষ্টা দেশের জনগণ মেনে নিবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০