ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

খালেদার বক্তব্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

মান্নান মারুফ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০
খালেদার বক্তব্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ঢাকা: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

অনেকেই মনে করছেন, ওই বক্তব্যে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের পক্ষ নিয়েছেন খালেদা জিয়া।

এর মাধ্যমে তিনি আসলে জামায়াত নেতাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, খালেদা জিয়াও যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান তার বক্তব্যে সেটাই প্রমাণ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার হোটেল শেরাটনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, ‘স্বাধীনতার পর প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেয়া হয় এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করা হয়। চার দশক পর একথা ভুলে গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগীদের বিচারের কথা বলে আবার দেশকে হানাহানির দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। ’

আওয়ামী লীগের এই দ্বিমুখী নীতির বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়ানোরও আহবান জানান তিনি।

খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া চাইলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য বিমল বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কাজ ও অবস্থানে প্রমাণিত হয় যে বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য কাজ করছে। ’
 
তিনি বলেন, ‘বিএনপি, খালেদা জিয়া ও জামায়াত মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও মানবতাবিরোধীদের তারাই পৃষ্ঠপোষকতা করছে। ’
 
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না বলেই তারা বলছে-এটা ছিলো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। ’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তার আলাদা কোনো ব্যাখা নেই। তিনি যেটা ভাল মনে করেছেন সেটাই বলেছেন। ’

তিনি বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন কোনো কথা বলার পর সে বিষয়ে আর কিছু বলার থাকে বলে মনে করি না। ’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দৃষ্টিভঙ্গী আলাদা। খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য তার দলের স্ট্যান্ট। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা মহাজোটের শরিক দল। আমরা একটা অঙ্গিকার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছি। মহাজোটের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। তাই খালেদার ওই বক্তব্যের সঙ্গে আমাদের মত পার্থক্য থাকাই স্বাভাবিক। ’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ বাংলানিউজকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন। ওই বক্তব্য দিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে, এমনকি তার স্বামীর সঙ্গেও বেঈমানী করেছেন। ’

দেশে যাতে যুদ্ধাপরাধের বিচার না হয় সেই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্যই খালেদা জিয়া ওই বক্তব্য দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।