ঢাকা: সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপির ডাকা প্রথম ধাপে ৭২ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ শেষে রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে দ্বিতীয় ধাপের টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে।
এদিন সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সড়ক ও নৌপথে এ অবরোধ চলবে।
গত বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিএনপির চলমান গণ-আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
অপরদিকে, সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেপ্তার সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিগত ৩ দিনের অবরোধ চলাকালে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে জামায়াতে এ অবরোধ চলবে রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত।
এছাড়া, চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অবরোধের ডাক দিয়েছেন আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
অবরোধের আগের দিন রাতে রাজধানীতে চার বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে রাজধানীর নিউ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, গুলিস্তান ও সায়েদাবাদে চারটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে, এসব আগুনে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধেও দেশে লঞ্চ-বাস-ট্রেনসহ সব ধরনের পরিবহন চালানোর ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি।
এদিকে, অবরোধের পাশাপাশি আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
মহানগর বিএনপি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে বলা হয়, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরে সর্বাত্মকভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে, অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্রবাহী ও সাংবাদিকদের বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে। পাশাপাশি রোববার ও সোমবার বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচিও চলমান থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৩
টিএ/এসএএইচ