নরসিংদী: নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইটাখোলা থেকে মঠখোলা পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ রাতদিন চলছে। কিছুদিন পর মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডের চিত্র পাল্টে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব বলেন। মনোহরদী পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশীদ সুজনের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ রায়, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ মোল্লা যাদু প্রমুখ।
উঠান বৈঠক শেষে একটি বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
উঠান বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কা বিজয়ী করতে হবে। আমার দীর্ঘ ৩০ বছর স্বপ্ন ছিল মনোহরদী-বেলাববাসীকে কী কী উপহার দেব। আমরা সেগুলো করে ফেলেছি। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি অনেক উন্নয়ন করেছি। আমি সফল মন্ত্রী। নরসিংদী জেলার উন্নয়ন করেছি। কৃষকদের জন্য আমরা সার কারখানা খুলে দিয়েছি। সেখানে ১০ লাখ টন সার উৎপাদন হবে। আগামীতে যদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারি, তাহলে বাকি উন্নয়ন সম্পন্ন করতে পারব।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বীরা সুতা দিয়ে নানাভাবে নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করবে। ভয় দেখাতে চায়। আমরা জাতির কাছে এবং বহির্বিশ্বের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখাতে চাই। সারা পৃথিবী তাকিয়ে আছে শেখ হাসিনার দিকে। যারা অগ্নিসংযোগ করেছে তারা আজকে মাঠে নেই। তারা অন্যের কাঁধে ভর করে আছে। আমরা জানি না তারা কোথায় কী ঘটাতে চায়। আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। প্রতিপক্ষ নিজেদের পোস্টার নিজেরা ছিঁড়ে, অফিস ভেঙে আমাদের ওপর দোষ দেওয়ার চেষ্টা করবে। আপনারা কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন না।
নূরুল মজিদ বলেন, ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র জনতা নিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছিলাম। নৌকা হলো স্বাধীনতার মার্কা। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছি। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীরা এই দেশ ছেড়ে যায়নি। তারা নানাভাবে নানা রূপ ধারণ করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছে। তারা যদি সুযোগ পায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এই স্বাধীনতার শত্রুদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে।
এই আসনে শিল্পমন্ত্রী ছাড়াও আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন জাতীয় পার্টির কামাল উদ্দিন (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের এমদাদুল হক ভূলন (ছড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু (ঈগল)।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
এইচএ/