ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গণতন্ত্র বজায় রাখতে সংগ্রাম করে যেতে হবে: মঈন খান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
গণতন্ত্র বজায় রাখতে সংগ্রাম করে যেতে হবে: মঈন খান

ঢাকা: গণতন্ত্র ছেলে হাতের মোয়া নয় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, গণতন্ত্রকে যদি আমরা বজায় রাখতে চাই, তাহলে আমাদের প্রতিটি মুহূর্তে সংগ্রাম করে যেতে হবে। আমরা (বিএনপি) সেই সংগ্রামে রত আছি।

অতএব হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) গ্যাস সংকট ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, পাচার করা ও ঋণখেলাপীদের টাকা উদ্ধার, সর্বগ্রাসী দুঃশাসন রোধে একদলীয় ডামি নির্বাচনের সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি।

আলোচনা সভায় ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, হতে পারে ৭ জানুয়ারি আমাদের প্রত্যাশা ছিল বড়, সেটা আমরা সেদিন অর্জন করতে পারিনি। এতে হতাশ হওয়ার কি আছে? এই আন্দোলন তো সহজ নয়। এই আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো এই যে, আমাদের শক্তি হচ্ছে জনগণের শক্তি, ন্যায়ের শক্তি।  

তিনি বলেন, আমরা গতকাল কালো পতাকা মিছিল করেছি, আমরা আবারও কালো পতাকা মিছিল করব। আমাদেরকে ঠাট্টা করে বলা হয়েছে, কালো পতাকা নাকি শোকের চিহ্ন। সরকারের বোঝার মতো সেই জ্ঞান-গরিমা নেই যে, তারা আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, এর থেকে বড় শোক আর কিছু হতে পারে না। সারা বিশ্বের একটি স্বীকৃতি পন্থা হচ্ছে কালো পতাকা মিছিল, এটা প্রতিবাদের ভাষা। আমরা শান্তিপূর্ণ সেই প্রতিবাদের ভাষা ব্যবহার করেছি। এই ভাষা আমরা ব্যবহার করতেই থাকব যতক্ষণ পর্যন্ত না নৈতিকভাবে এই সরকার সম্পূর্ণ পর্যদুস্ত এবং পরাজিত হয়ে বিদায় না নেয়। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন রাজপথে চলতেই থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কী আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর নামে একটি মামলাও দেওয়া হয়েছিল? কিন্তু আওয়ামী লীগ এখন ভাওতা দিচ্ছে যে, বিএনপি তাদের ওপর জুলুম করেছে। কিন্তু কী জুলুম করেছে সেটার হিসাব কিন্তু তারা দিতে পারেনি। এটা পারবেও না, এটা সম্ভব নয়। কারণ আওয়ামী লীগ বিএনপি দুটি ভিন্ন চরিত্রের রাজনৈতিক দল। আওয়ামী যা করে বিএনপি তা করে না। আওয়ামী বাকশাল করে বিএনপি গণতন্ত্র করে। আওয়ামী লীগ তার বিরোধী দলকে জুলুম করে বিএনপি তার বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ দেয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা জোর গলায় বলছি এবং বলতেই থাকব, বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আপনাদের কাছে আবেদন যে, আপনারা আপনাদের মনোবল অটুট রাখুন। আমরা সত্য ও সংগ্রামে আছি, ন্যায়ের সংগ্রামে আছি। এখানে বন্দুক বুলেট দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে আওয়ামী লীগ কাবু করতে পারবে না।

গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।