ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে পেটানোর অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে পেটানোর অভিযোগ

ফেনী: ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার তিন ছাত্রলীগ নেতাকে কোমরে থাকা অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে আহত করে পুলিশে সোপর্দ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাগলনাইয়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফার বিরুদ্ধে।

মামলা থেকে জামিন পেয়ে রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে ফেনীর একটি রেস্টুরেন্টে ছাত্রলীগের ওই তিন নেতা সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেছেন।

ছাত্রলীগের তিনি নেতা হলেন—ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. আইয়ুব চৌধুরী, ছাগলনাইয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম শাকিল ও ছাগলনাইয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন।

ছাত্রলীগ নেতা আইয়ুব চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি বিকেলে আমরা আমার খামারের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হই। পথে পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফা আমাদের দেখে তেড়ে আসেন। তিনি ও তার সাথে থাকা লোকজন আমাদের মারধর করা শুরু করেন। মেয়র মোস্তফা কোমরে থাকা অস্ত্র বের করে অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় সজোরে আঘাত করেন। আমার সাথে থাকা আমার বন্ধু আশরাফের নাকের উপর আঘাত করেন। আঘাত করার সাথে সাথে আশরাফ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। আমাদের তিনজনকে টেনে হিঁচড়ে একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন বদ্ধ ঘরে নিয়ে যান তারা। সেখানে আমাদের লাঠিসোঁটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করেন। আমাদের বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও করার চেষ্টা করেন।

আইয়ুব চৌধুরী বলেন, মেয়র মোস্তফা তার সঙ্গে থাকা অস্ত্রের বুলেট ও ইয়াবা আমাদের পোশাকে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, যা মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে যায়। যার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আমার বন্ধু আশরাফের সঙ্গ থাকা মোবাইল ফোন রেডমি নোট ১২, আমার বন্ধু জহিরুল ইসলাম শাকিলের মোবাইল ফোন স্যামসাং এ১০ এবং জহিরুল ইসলামের পকেটে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও আমার পকেটে থাকা আমার খামারের গরু ও মুরগি বিক্রির আনুমানিক ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জোরপূর্বক মেয়রের সাথে থাকা লোকজন নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসে ও সেখান থেকে আমাদের তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর মেয়র মোস্তফার নির্দেশে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আমাদের তিনজনকে আসামি করে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে। আমরা জামিনে মুক্ত হই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, অভিযোগগুলো ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, বানোয়াট। এই তিনজন প্রবাসীর বাড়িতে হামলা এবং চাঁদা চাইতে গিয়েছিল। বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা তাদের ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। আমার আত্মীয়ের বাড়ি কিন্তু আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। পুলিশ যাওয়ার পর আমি সেখানে গিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ০০২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
এসএইচডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।