ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সীমান্ত অরক্ষিত রেখে নাগরিকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪
‘সীমান্ত অরক্ষিত রেখে নাগরিকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার’

ঢাকা: সরকার সীমান্ত অরক্ষিত রেখে দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই সরকার বিদেশি শক্তির কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অরক্ষিত সীমান্তের প্রতিবাদে’ গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মাহমুদ হোসেন।

সমাবেশ পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল গুলিস্তান বায়তুল মোকাররম হয়ে পুরানা পল্টনে এসে শেষ হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ডামি নির্বাচনের সরকার বাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হাঁকডাক দিলেও এটা এখন প্রমাণিত যে, সরকারই সিন্ডিকেটের মূল পাহারাদার। এই সরকার বিগত ১৫ বছরেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারেনি। অবৈধ ক্ষমতার নবায়ন করে আবারো কেবল হাঁকডাকই দিচ্ছে। সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিলেও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম নিম্নমুখী তখনও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেনি। কারণ এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা হচ্ছে সরকার। ফলে সরকারের এই হাঁকডাক যে জনগণকে কেবল ধোঁকা দেওয়ার জন্যই সেটা এখন স্পষ্ট। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস ওঠা ছাড়া আর কোনো পরিণতি নেই।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আরও বলেন, সরকার সীমান্ত অরক্ষিত রেখে দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই সরকার বিদেশি শক্তির কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি দিয়েছে। বিদেশি আনুকূল্যে তথাকথিত নির্বাচনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সীমান্ত সমস্যা, পানি সমস্যাসহ সীমান্তে হত্যা নিয়ে কোনো কথা তিনি বলতে পারছেন না। বিএসএফের গুলিতে সীমান্ত বিজেপি সদস্যসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় সরকারের নীরবতা যেমন চলতে থাকে, তেমনি মিয়ানমারে উদ্ভূত গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বোমার আঘাতে বাংলাদেশের দুজন সাধারণ মানুষও যখন নিহত হয়, তখনও সরকার নীরবই থাকেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে এরা কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে পারেনি। এদের হাতে এদেশের সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়, মানুষের জীবনও নিরাপদ নয়।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকার নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির নির্বাচনকেও কারচুপি ও সহিংসতামুক্ত করতে পারেনি। ৯০ ভাগেরও বেশি মানুষ ভোট বর্জন করলেও এরা ব্যালটে সিল মেরে ভোট বাড়িয়ে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য দেখানোর দেখানোর চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশের মানুষ এটা কখনোই মেনে নেবে না।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্য সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর রেজাউল আলম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।