ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা

মাদারীপুর: মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমন কাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব সরদারকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ হাসিব আহম্মেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রোববার দুপুর একটার দিকে শহরের ইটেরপুল এলাকায় প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ উভয়পক্ষের লোকজন বেশ কয়েকটি হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে আট জন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর ১২টার দিকে মাদারীপুর আদালত প্রাঙ্গণে পূর্বের মামলার কাজে যান ছাত্রলীগ নেতা সজীব সরদার ও সুমন কাজী গ্রুপের লোকজন। দুই পক্ষ আদালত প্রাঙ্গণে মুখোমুখি হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরের ইটেরপুল এলাকার মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো এলাকা আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এতে যাত্রী ও পথচারীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বেশ কিছু সময় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।

খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁকাগুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য গুরুতর আহত হন। এছাড়াও সংঘর্ষ চলাকালে সোহাগ তালুকদার নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধসহ আহত হন অন্তত আট জন। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরে পুলিশ ঘটনাস্থল ও শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অসংখ্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে সংঘর্ষে জড়িত ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘প্রকাশ্যে মহড়া দিয়ে দুটি পক্ষ সংঘর্ষ জড়ানোর ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশের অভিযান এখনো চলছে। উভয়পক্ষের চিহ্নিত কর্মীরা কেউ এলাকায় নেই। তাদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম চেষ্টা করছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।