ঢাকা, বুধবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ২৮ আগস্ট ২০২৪, ২২ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

লিটন-বাদশাসহ ৬৩১ জনের নামে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৪
লিটন-বাদশাসহ ৬৩১ জনের নামে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের মামলা

রাজশাহী: আওয়ামী লীগ সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাসহ ৬৩১ জনের নামে মামলা হয়েছে। বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে এ মামলাটি হয়েছে।

রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে এ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

ওসি বলেন, মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাতে রাজশাহী নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টু বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। নগর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, শফিকুল ইসলাম বাদশা ও আসাদুজ্জামান আসাদসহ ২৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে।

তবে মামলা হলেও আসামিরা সবাই পলাতক। তাই মামলা তদন্তের পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানাকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মীর ইকবাল, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ, সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, রকি কুমার ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজিব, হাবিবুর রহমান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, মোস্তাক হোসেন, আজিজুল আলম বেন্টু, যুবলীগের নেতা জহিরুল হক রুবেল, নাহিদ আক্তার নাহান, সাবেক মেয়র লিটনের পিএস আব্দুল ওহেদ খাঁন টিটু, ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন বিপ্লব, রোজেল, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফর, সাবেক সেক্রেটারী নাইমুল ইসলাম নাইম, নগর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, রাসিক এর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, আরমান আলী, আনোয়ার হোসেন আনার, আব্দুল মোমিন, তৌহিদুল হক সুমন, শরিফুল ইসলাম বাবু, নিজামুল আজিম, মনিরুজ্জামান মনি, শাহাদাত হোসেন শাহু, মাহাতাব উদ্দিন, রাসেল জামান, মতিউর রহমান মতি, শহিদুল ইসলাম পচাঁ, জানে আলম জনি, কামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, নগর আওয়ামী লীগ সদস্য ইউনূস আলী, সাবেক মেয়র লিটনের বড় মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহিল গালিব ও পবা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ডাবলু।

এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে।

এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে-আসামিরা গত ১৯ জুলাই নগরীর মালোপাড়ায় নগর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালান। এ সময় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এ সময় তারা গুলি চালায় এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে তারা ওই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে বাদীসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৪
এসএস/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।