ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খুলনায় ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৪
খুলনায় ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ

খুলনা: খুলনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা সদর থানার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের সুস্থতা ও বীর শহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বন্ধ মিল কলকারখানা চালু, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা সদর থানার সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি গাজী ফেরদৌস সুমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, নগর সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি আবু মো. গালিব, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, কৃষি ও শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, গত আওয়ামী শাসনামলে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। দুর্নীতি, দুঃশাসন ও লুটতরাজের মহড়া চলেছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিতাড়িত করেছে। কিন্তু দুর্নীতিবাজরা এখনো দেশের মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান বিগত দিনে যারা দুর্নীতি ও দুঃশাসন করেছে, মানুষের জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি করেছে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, বিদেশে পাচারকৃত সব অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং সেই সঙ্গে দুর্নীতিবাজদের সব অবৈধ সম্পদকে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। কারণ এ সম্পদ দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সম্পদ।

গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়কারী সাজিদুর রহমান বাপ্পি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খালিশপুর থানা সভাপতি হাফেজ আব্দুল লতিফ, দৌলতপুর থানা সভাপতি সরোয়ার হোসেন বন্দ, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, লবণচরা থানা সভাপতি মাওলানা নাসিম উদ্দিন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি শ্রমিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, মো. ইব্রাহিম খান, যুব আন্দোলন নগর সভাপতি ইমরান হোসেন মিয়া, মো. আব্দুস সবুর, ছাত্র আন্দোলন নগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাহাদি হাসান মুন্না, মোস্তফা আল গালিব, ইসলামী আন্দোলন সদর থানা সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, আব্দুস সালাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা ইসমাইল হোসেন, শ্রমিক আন্দোলন সদর থানা সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, যুব আন্দোলন থানা সভাপতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ গাজী, ছাত্র আন্দোলন থানা সভাপতি হাবিবুল্লাহ মেসবাহ।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মো. আনোয়ার হোসেন, আব্দুর রহমান সবুজ, মিরাজ মাহাজন, জাবের হোসেন, শহিদুল ইসলাম, গাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, মফিজুর রহমান লাভলু, বখতিয়ার হোসেন, আব্দুল হাই, আব্দুর রাজ্জাক, বদরুজ্জামান, রেদওয়ানুল করীম রিপন, মাহবুব হোসেন, সেলিম হোসেন, রুহুল আমীন বিশ্বাস, হেলাল উদ্দিন, আফজাল হোসেন, রিয়াজ হোসেন, শামসুল হক, আব্দুল্লাহ মাহমুদ, আলাআমীন আকন, সজল হাওলাদার আব্দুল্লাহ, মাসুম বিল্লাহ, ফাহিম হোসেন, শেখ শাহরিয়ার নাফিস, নূরুল করিম, সিয়াম হোসেন প্রমুখ নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২৪
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।