ঢাকা: ইসলাম ধর্মকে রক্ষার জন্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী মাহাবুব-উল-আলম হানিফ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলানয়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
জামায়াত নেতা নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদীসহ যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
হানিফ বলেন, ‘জামায়াত আল্লাহর আইনের কথা বলে কিন্তু আল্লাহর আইন তারা চায় না। আল্লাহর আইন চাইলে তারা মহানবী (সা.) এর আইন মেনে চলতেন। কিন্তু তারা মওদুদির আইন মেনে চলে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘যেখানেই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সেখানেই জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। পরিক্ষিত কর্মীদের জামায়াত জঙ্গি সংগঠনে পাঠায়। ইসলামের নাম নিয়ে এরা মানুষ হত্যা করছে, এরা বাংলাদেশকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানাতে চায়। ’
আওয়ামী ওলামা লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় মাহবুব-উল-আলম হানিফ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় যাতে কেউ বাধা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে ওলামা সমাজকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘য্দ্ধুাপরাধীদের বিচার জাতির কাছে আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করলে জাতির সঙ্গে বেইমানি করা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে পাপমুক্ত করা হবে। শুধু পাপ মুক্ত নয়, এদের বিচার করে ধর্মকে রক্ষা করতে হবে। ’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীদের অপকর্ম, কুকর্ম মসজিদের খুদবায় জাতির কাছে তুলে ধরতে আলেম ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘জাতি দ্রুত বিচার চায়। কিন্তু দীর্ঘ ৩৯ বছর পর বিচার হতে যাচ্ছে। এই কারণে তদন্তে কিছুটা সময় লাগছে। ’
৫জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে উল্লেখ করে আইন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চিহ্নিত বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। ট্রাইব্যুনাল যথাসময়েই এদের গ্রেপ্তার দেখাবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ধর্মীয় ব্যাখা তুলে ধরার জন্য তিনি আলেম ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানান।
ওলামা লীগের সভাপতি মওলানা ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও ওলামা লীগের শীর্ষ নেতারা।
বালাদেশ সময়: ১৯৩৪, ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১০