টাঙ্গাইল: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সামুসহ আওয়ামী লীগের ৬৪ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুজ্জামান খান ওরফে ভিপি শহীদ টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত বিচার আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর ছাড়াও মামলায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভায় হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কান্তি দাস ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আরিফ হোসেন, শহিদুল ইসলাম খান হেস্টিংস, খলিলুর রহমান তালুকদার, সুলতান মাহমুদ সুজন, কামরুজ্জামান জুয়েল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিদ্যুৎ সরকার, বিপ্লব সরকার, কবির হোসেন, কফিলুর রহমান ভূটান, জুলফিকার, মুনছুর আলী, কবির কাজী, মান্নান ভুঁইয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন খান, আয়নাল হোসেন, মশিউর রহমান আরজু, মিজানুর রহমান সিজান, রওনক খান, সুমন খান বাবু, ছানা, সোহেল সিদ্দিকী, কাইয়ুম খান, শিবলী, হারুন, জুলহাস প্রমুখ।
মামলায় পাঁচ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম মিয়া, দিঘলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন খান, লোকেরপাড়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আকরাম হোসেন খান ও ঘাটাইল ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হায়দার আলী।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য সোমবার বিকেলে ঘাটাইল ট্রাক মালিক সমিতির কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা আহ্বান করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সামুর নেতৃত্বে আসামিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
তারা আহ্বায়ককে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে শোক দিবস পালন করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। এ সময় চেয়ার, টেবিল, আলমারি, দেয়ালে টাঙ্গানো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নামিয়ে ভাঙচুর করেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সামুর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি সেসব মামলায় একাধিক সময় কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি বন মামলায় তার এক বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। বর্তমানে আপিল আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্ত আছেন তিনি।
থানা এজহার নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আদালতে মামলা দিতে বিলম্ব হয়েছে বলে বাদী অভিযোগ করেন।
মামলার আসামিরা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমানুর রহমান খান রানার সমর্থক। জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় তিনি বর্তমানে পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৫
এমজেড