ঢাকা: শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করছি।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছিলেন।
আজ সে দু:সহ অবস্থাকে কাটিয়ে উঠে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করছি।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশে এখন একটা ক্রান্তিকাল চলছে। হয় দেশের নেতৃত্বে সম্মিলিত অসাম্প্রদায়িক শক্তি, নইলে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদরা থাকবে।
তিনি সভায় উপস্থিত মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা খালেদা জিয়াকে জিজ্ঞাসা করুন- তিনি দেশদ্রোহী কথা কোথায় পেলেন যে, বর্তমান সরকার আর মাত্র দুই-তিনমাস ক্ষমতায় আছে। একটা কথা হল- নির্বাচিত একটি সরকারকে নির্বাচন ছাড়াই হটিয়ে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জঙ্গি দমন করেছেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্নেহে আমরা রাজনীতি করেছি। তিনি শুধু আওয়ামী লীগেরই নয় সব দলের অভিভাবক ছিলেন। আমাদের সুখ-দু:খের খোঁজ-খবর রাখতেন।
পনেরই আগস্টের দিনে আমরা সবাই হতবিহবল হয়ে পড়েছিলাম। যে কারণে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়নি।
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৫ আগস্টে শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকেই নয়, বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল কুচক্রীরা। চেয়েছিল পাকিস্তান বানাতে।
এই খুনি-কুচক্রীরা চলতি বছর তিনমাস জ্বালাও-পোড়াও করে আমাদের ওপর আগুনযুদ্ধ চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সে চক্রান্ত সফল হয়নি। তারা আজ আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা হয়। কিন্তু খুনিদের সে অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আর এসব অপকর্ম করতে তারা আগস্ট মাসকে বেছে নেয়।
এ আলোচনা সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সহ দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস। আরও বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ প্রমুখ।
বিকাল চারটায় এ আলোচনা সভা শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা পৌনে সাতটায়।
এর আগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা বুধবার (১২ আগস্ট) টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনকের মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৫
এসএস/এএসআর