ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার কেক কাটার জবাব দেবে জনগণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫
খালেদার কেক কাটার জবাব দেবে জনগণ ছবি:সোহাগ / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকীর দিন আলোকসজ্জা করে কেক কেটে জন্মদিন পালন করার কঠোর সমালোচনা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
 
তিনি বলেন, যেখানে ভারতের হাইকমিশন জাতির জনকের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাদের স্বাধীনতা দিবসের কোনো অনুষ্ঠান পালন করেনি, সেখানে একজন নেত্রী আলোকসজ্জা করে ভুয়া জন্মদিন পালন করেন।

আমার লজ্জা হয়, ঘৃণা হয়। খালেদা জিয়ার কেক কাটার জবাব ২০১৯ সালে ভোটের মাধ্যমে দেবে এদেশের জনগণ।
 
রোববার (১৬  আগষ্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘সুষম উন্নয়ন: উত্তরাঞ্চলের অবস্থান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
নর্থ বেঙ্গল জার্নালিসস্ট ফোরাম (এনবিজেএফ) আয়োজিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. মোদাব্বের হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের। বক্তব্য রাখেন এনবিজেএফ’র সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান কামাল, সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব প্রমুখ।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তাদের হাইকমিশন কোনো অনুষ্ঠান করে না। সারা দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানায়, আর তিনি কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন।   তার লজ্জা হওয়া উচিত।
 
তিনি বলেন, সুষম উন্নয়নের জন্য জনগণের সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার। সরকারের ধারাবাহিকতা রয়েছে বলেই বিদ্যুতের উন্নয়ন হচ্ছে, জঙ্গিবাদ নির্মূল হচ্ছে। দেশের উন্নয়নে সরকারের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
 
বিশ্বব্যাংকের উদ্দেশ্যে নাসিম বলেন, তারা মিথ্যা অজুহাতে পদ্মাসেতুর অর্থায়ান বন্ধ করে দিয়েছিল, কিন্তু এখন তারাও তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। আজ বিশ্বব্যাংকই বলছে, দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে।
 
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, উত্তরবঙ্গ বরাবরই পিছিয়ে ছিলো। আমরা পিছিয়ে থেকেই কাজ শুরু করেছি। প্রশাসনে আমাদের লোকবল কম। যে কারণে প্রকল্প নেওয়ার পরেও অর্থ ছাড় হয় না। এখানে আমলাতান্ত্রিক  কিছু জটিলতা রয়েছে।
 
উত্তরবঙ্গের গ্যাস সংকট নিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর এই পারে ৩ শতাধিক সিএনজি স্টেশন থাকলেও ওই পারে হাতে গোণা মাত্র ১০টি সিএনজি স্টেশন রয়েছে।   সুষম উন্নয়নের জন্য এ অঞ্চলে পর্যাপ্ত
সংখ্যক সিএনজি স্টেশন করতে হবে।
 
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে যে পরিমাণ কয়লা রয়েছে তার সঠিক ব্যবহার করতে পারলে আরও অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। উত্তরবঙ্গ বলেই এ কয়লা উত্তোলন হচ্ছে না। এ মানসিকতা আমাদের দূর করতে হবে। তবে এতে শুধু রাজনীতিবিদরাই নয়, সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা দরকার।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট  ১৬, ২০১৫
এসএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।