কুষ্টিয়া: জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের সাত নেতার ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ বেলাল হোসেনের নির্দেশে এসব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের অপব্যবহার হচ্ছে বলে পুলিশ সুপারের দফতর থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এসব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়। ওই সুপারিশের ফলে এসব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
সোমবার (১৭ আগস্ট) জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
লাইসেন্স বাতিলকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মোমিনুরর রহমান মোমিজের দুইটি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুর একটি, সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজের দুইটি, মিরপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দারের একটি, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দারের দুইটি, মিরপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কাশেম জোয়ার্দ্দারের একটি এবং যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মধুর একটি রয়েছে।
এদিকে, শোক দিবসে দুইপক্ষের সংঘর্ষকালে শটগান দিয়ে গুলি ছোড়া বরখাস্তকৃত পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আনিসকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় চিসিম বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর থেকে আনিস আত্মগোপনে রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত ছয়টি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ব্যবহৃত শটগানটিসহ বাকি চারটি অস্ত্র জমা দিতে মালিকদের জানানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৫
এসআর