ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতিচ্ছবি হোক ছাত্রলীগ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৫
পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতিচ্ছবি হোক ছাত্রলীগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রলীগকে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সব ধরনের অপরাজনীতি থেকে দ‍ূরে থেকে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি।

সোমবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদদীন হল মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে এ সভার আয়োজন করে কবি জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগ।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, জসীম উদদীন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্ল্যাহ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

সভায় মির্জা আজম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে ছাত্রলীগ। কারণ এ ছাত্র সংগঠনটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া এবং তারই আদর্শে অনুপ্রাণিত। তাই ছাত্রলীগকে সব অপরাজনীতি থেকে মুক্ত থেকে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে হবে।

সরকার তাদের ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে শেখ হাসিনা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সে লক্ষ্যমাত্রা আজ পূরণের পথে। বিশ্বব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ। নির্ধারিত সময়ের আগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মির্জা আজম।

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনায় অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে কেবল একজন ব্যক্তিকেই হত্যা করা হয়নি, হত্যা করা হয়েছে একটি প্রতিষ্ঠানকে। কারণ তিনি কেবল একজন ব্যক্তিই ছিলেন না, ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। আপন ত্যাগ ও নেতৃত্বগুণে যিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন বিশ্বনেতা।
তার জীবন ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বানও জানান মাকসুদ কামাল।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন, সদ্য বিদায়ী সমাজসেবা সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।

হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনির সভাপতিত্বে স্মরণ সভাটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বি এম এহতেশাম। অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৫
এসএ/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।