ঢাকা: সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার। দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব মহলে তীব্র সমালোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই প্রশাসনের এই কঠোরতা।
এরই ফলস্বরূপ গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীনদের পাঁচ নেতাকর্মীর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’-এ নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বুধবার দুপুরে ঢাকার একটি হোটেলে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছি। এখানে কে ছাত্রলীগ, কে যুবলীগ, এটা বিষয় নয়। অপরাধীর পরিচয়, সে অপরাধী। এ ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখাবে সরকার।
অন্যদিকে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। ঢাকা এবং মাগুরায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’-এ দুই ছাত্রলীগ নেতা নিহত হওয়ার পর ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের সন্ত্রাস দমনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ছয় বিভাগের ডিআইজিদের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বিভাগীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো দল ও গোত্র নেই। এ ক্ষেত্রে কঠোর হতে না পারলে দায়িত্বে রাখা সম্ভব হবে না। সঙ্গে সঙ্গেই মন্ত্রীর এ নির্দেশনা পৌঁছে যায় দেশের সব পুলিশ সুপারদের কাছে। এরপরই দুই দিনে পাঁচ ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে এ কথা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
আরএম/এবি